গুলশানো হলি আর্টিজান হামলা মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ৩ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টনোগ্রাফার হাফিজুর রহমান বলেন, চার্জশিটভুক্ত ৮ আসামি হলো- হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। এর মধ্যে শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির সিএমএম আদালতের জিআর শাখায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। পরে ৩০ জুলাই মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য ৮ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
সূত্র আরও বলেন, গত ৮ আগস্ট ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। একইসঙ্গে অভিযোগপত্রে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগপত্রে ২১ আসামির মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানের সময় এবং ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অপারেশন থান্ডারবোল্টে ঘটনাস্থলে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। নিহতরা হলো- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন