প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গতকাল বিজেএমসির বোর্ড সভা কক্ষে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপির সাথে বিজেএমসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজেএমসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হুমায়ুন খালেদ (অব.)। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম সচিবসহ অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিজেএমসির পরিচালকমÐলি, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য বিজেএমসির চেয়ারম্যান বলেন, অনেক সমস্যা থাকা সত্তে¡ও বিজেএমসির সম্ভাবনা অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ মোতাবেক আমরা ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং অ্যাক্ট-২০১০ এর সফল বাস্তবায়নের পথে অনেকটা অগ্রসর হয়েছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাচ্যুয়েটি, পাটের বকেয়া টাকা, বকেয়া বেতন ইত্যাদি বিভিন্নমুখী ঋণের দায়ে বিজেএমসি জর্জরিত। প্রধানমন্ত্রী সদিচ্ছার কারণে বিকেএমসি একটি ক্রান্তিকাল পার করেছে। এখন আমাদের সকলের দায়িত্ব হবে সততা এবং জবাবদিহিতা জোরদার করে বিজেএমসিকে নিজের পায়ে দাঁড় করানো। অতঃপর প্রতিমন্ত্রী পাটের ব্যাগ বিক্রয়কারী বিজেএমসির তালিকাভূক্ত এজেন্টদের সাথে মতবিনিময় করেন। উক্ত সভায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বিজেএমসির বস্তার দাম বেশি চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো মালামাল তুলতে না পারা, মোবাইল কোর্ট আরও জোরদার করা, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাটের বস্তা বাধ্যতামূলক করা ইত্যাদি বিষয়ে এজেন্টরা বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, খুব শীঘ্রই ম্যান্ডিটরি প্যাকেজিং এ্যাক্ট এর ক্ষেত্রে আরও ১৩টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে পাটের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে সভা সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন