বিশেষ সংবাদদাতা : সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের দায়ে গত ২ বছর বাংলাদেশের ৪ ক্রিকেটারকে বায়ো মেকানিক্স পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অফ স্পিনার সোহাগ গাজী এবং পেস বোলার আল আমিনকে ২ বার করে ল্যাবরেটরীতে দিতে হয়েছে পরীক্ষা। দ্বিতীয় দফায় ল্যাবরেটরী টেস্টে বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা পেয়ে ফিরেছেন তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অফ স্পিনার সনজিত সাহা এবং টি-২০ বিশ্বকাপে তাসকিন ও আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় ল্যাবরেটরী টেস্টে অবৈধ ঘোষিত হয়েছে তাদের বোলিং অ্যাকশন। খালি চোখে বোলিং অ্যাকশনে ত্রæটি ধরা পড়ে না বলেই তাসকিনের অ্যাকশনকে আম্পায়ার এস রবি এবং রড টাকার সন্দেহ পোষন করে রিপোর্ট দেয়ায় এই দুই আম্পায়ারকে এক হাত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ হাতুরুসিংহে এবং বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক। বোলিং অ্যাকশনের ত্রæটি সারিয়ে আইসিসি নির্দেশিত ল্যাবরেটরীতে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারছে না বাংলাদেশ বোলাররা, সোহাগ গাজী এবং আল আমিনের প্রথম পরীক্ষায় অবতীর্ন হওয়ার বেলায় সেটাই হয়েছে দৃশ্যমান। তাছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট আসর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে ইতোমধ্যে ৭ ক্রিকেটারের বোলিং অ্যাকশন রিপোর্টেড হয়েছেন। সেটাও ভাবিয়ে তুলছে বিসিবিকে। তাই ত্রæটিপূর্ন বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে অভিযুক্ত বোলারের বোলিং অ্যাকশনের প্রাথমিক পরীক্ষা বিসিবি নিজেরাই করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। তার জন্য মিনি বায়ো মেকানিক্যাল ল্যাবরেটরী স্থাপনের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে বিসিবি। গতকাল এই পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন বিসিবি’র মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসÑ‘ প্রাথমিকভাবে কোন বোলারের অ্যাকশনে কি ধরনের ত্রæটি আছে, কতো ডিগ্রি এ্যঙ্গেলে হাতের কনুই বাঁক খাচ্ছে, তা নিরুপন আমরা নিজেরাই করতে চাচ্ছি। যেভাবে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে বোলাররা রিপোর্টেড হচ্ছে, তাতে ছোট আকারের হলেও একটা বায়ো মেকানিক্যাল ল্যাবরেটরী স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে।’
আইসিসি নির্দেশিত ল্যাবরেটরীতে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার খরচ ব্যয়বহুল। অভিযুক্ত বোলারের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ কাউকে হয় পাঠাতে। পরীক্ষার রিপোর্টের আগে নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই। সে কারনেই ইংল্যান্ড,অস্ট্রেলিয়ার স্পোর্টস বায়ো মেকানিক্যাল ল্যাবরেটরী স্থাপনের উচ্চাভিলাসী প্রকল্প হাতে নিতে চায় বিসিবি। এমনটাই জানিয়েছেন জালাল ইউনুসÑ‘আপাতত: ৬টি ভিডিও ক্যামেরা এবং সফটওয়ার প্রযুক্তি দিয়ে হলেও মিনি বায়োমেকানিক্যাল ল্যাবরেটরী স্থাপন করা দরকার। প্রয়োজনে প্রযুক্তিগত সুবিধার জন্য ইংল্যান্ড,অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা নেয়া হতে পারে। তাদের এক্সপার্টিস্টদের আনার বিষয়টিও ভাবছি আমরা।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন