ভোলার লালমোহনে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের গাড়ী বহরে হামলা চালিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ হামলায় যুবদল ও ছাত্রদলের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে দুটি মাইক্রোবাস। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ডাওরী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জেলা যুবদল সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন ও অাহত সুত্র জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সাথে দেখা করতে ভোলা জেলা যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। নেতাকর্মীরা লালমোহন উপজেলার ডাওরী বাজার এলাকায় আসলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের গাড়ি বহরে বাধা দেয়। এসময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর এলোপাথারী হামলা চালায়। হামলায় যুবদল, ছাত্রদলের ১৫জন গুরুতর নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সম্পাদক আবদুল কাদের সেলিম, সহ-সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, যুবদল নেতা নকীব, জিয়াউর রহমান পলাশ, মাসুম, সুফিয়ান, সুজন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম, ছাত্রদল নেতা বাপ্পী, আমির হোসেন, সোহরাব, আবদুর রহমান। হামলাকারীরা এসময় দুটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লালমোহন পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাদল জানান, এটি বিএনপির ভেতরগত বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোন সম্পর্ক নেই।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবির জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন