শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত কিশোরীরা

প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : দু’দিন আগে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে শেষ হয়েছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক (দক্ষিণ ও মধ্য) বালিকা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে অপরাজিত থেকেই টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। গত রোববার তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবের অ্যাভিয়েটর স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আর এ সাফল্যে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সোমবার রাতে দেশে ফেরার পর গতকাল বাফুফে ভবনে শিরোপাজয়ী অনূর্ধ্ব-১৪ বালিকা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ সুপার লিগ (বিএসএল) কমিটি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফুটবলার, কোচ এবং কর্মকর্তাসহ ২৫ জনকে ক্রেস্টের সঙ্গে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। দলের অধিনায়ক মার্জিয়ার হাতে তুলে দেয়া হয় স্মারক বল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাফুফের নবনির্বাচিত সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও তাবিথ আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, কার্যনির্বাহী সদস্য শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, ফজলুর রহমান বাবুল, ইকবাল হোসেন, মাহফুজা আক্তার কিরণ এবং বিএসএলের স্বত্বাধিকারী ও সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন।
মাত্র সাড়ে চার মাসের ব্যবধানে একই টুর্নামেন্টের দু’টি শিরোপা জিতেছেন লাল-সবুজের মেয়েরা। গেল বছর ২০ ডিসেম্বর নেপালে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। যেটা ২৫ এপ্রিল ভয়াবহ ভূমিকম্পে হতে পারেনি। সাড়ে চার মাসের ব্যবধানে এ বছরও সেই শিরোপা জয়। তবে এবারের চমক ছিল দু’বার ভারত বধ। একবার গ্রæপ পর্বে (৩-১)। আরেকবার ফাইনালে (৪-০)। তাই তো এবারের শিরোপা জয়টা এতটা আনন্দের।
তাই তো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধিনায়ক মার্জিয়া বলেন, ‘শিরোপা জয়ের আনন্দটা বেশি ছিল দু’বার ভারতকে হারানো। দোয়া করবেন, ভবিষ্যতে আরও ভাল কিছু করতে পারি।’ তিনি আরো বলেন, ‘সামনে আমাদের লক্ষ্য অনূর্ধ্ব-১৭ ও ২০ বাছাই পর্ব উতরে যাওয়া।’ হয়তো মিডিয়ার সামনে কথা বলে অভ্যস্ত নন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা (১০ গোল) তহুরা খাতুন। তারপরও অনেকটা আঞ্চলিক ভাষাতেই তহুরা যা বললেন, তা এরকম, ‘অনেক কষ্ট করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তবে যখন জাতীয় সংগীত সুর বেজে উঠতো, তখন আমার শরীরে শিহরন জাগতো।’ অনেক কষ্টের এই শিরোপা জয় বলেই জানান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, ‘গত ২০ ডিসেম্বর নেপালে প্রথম শিরোপা জিতলাম। এরপর বয়সের কারণে ১০ জন দল থেকে চলে গেলো। পরবর্তীতে তিনটি টুর্নামেন্ট থেকে ১০ জনকে বাছাই করে এই দল গঠন করেছিলাম। বিকেএসপিতে নিবিড় অনুশীলনও করিয়েছি। তাজিকিস্তানে যাওয়ার পর বৃষ্টির মধ্যেই অনুশীলন করেছে মেয়েরা। অনেক কষ্ট করেছে তারা। এই শিরোপা আমাদেরই পাওনা ছিল।’ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘কিশোরী মেয়েদের সাফল্যে আমরা গর্বিত। বিদেশের মাটিতে পর পর দু’টি শিরোপা জয় করেছে আমাদের মেয়েরা। যার মানে এই দলে অবশ্যই বিশেষ প্রতিভা রয়েছে। আমি বাফুফের মহিলা কমিটিকে বলেছি তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে। আমরা তাদের সব রকম সহযোগিতা দেব।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন