রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

১৬ মিনিটেই বিধ্বস্ত শেখ জামাল

প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনী প্রভাব যেন পড়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের খেলায়ও। বাফুফে নির্বাচনে শেখ জামাল সভাপতি মনজুর কাদেরের নেতৃত্বাধীন ‘বাঁচাও ফুটবল’ পরিষদের চরম ভরাডুবির পর এবার মাঠে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে বাফুফে নির্বাচনে ক্লাব পরিচালক কাজী নাবিল আহমেদ ও ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপুর জয়লাভে যেন জ্বলজ্বল করছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। তাই তো তারা শেখ জামালকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে পৌঁছে গেছে মৌসুম সুচক টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপের প্রথম সেমিফাইনালে আবাহনী ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শেখ জামালকে। ম্যাচে আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা হ্যাটট্রিকসহ চারটি এবং ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাক দু’টি গোল করেন। এই জয়ের ফলে ২০১১ সালের পর প্রথমবারের মতো কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা পেলো ঢাকা আবহনী। অন্যদিকে ২০১০ সালে দেশের পেশাদার ফুটবলে পদার্পণ করার পর ঘরোয়া কোন আসরে এটিই শেখ জামালের সবচেয়ে বড় হার। ২০১১ সালে এই আবাহনীর কাছেই ৫-৩ গোলে হেরেছিল তারা।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই দু’দল গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়লেও প্রথমার্ধ ছিলো গোলশূণ্য। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই যেন বদলে যায় আবাহনী। মুলত দ্বিতীয়ার্ধের ১৬ মিনিটেই বিধ্বস্ত হয় শেখ জামাল। ৪৮ থেকে ৬৪ মিনিটের মধ্যে তারা হজম করে চার গোল। পরে ৮১ থেকে ৮৩ মিনিটের মধ্যে আরো দুই হজম করলে শেষ পর্যন্ত তাদের বড় হার নিশ্চিত হয়। ম্যাচের ২৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো আবাহনী। এসময় বল নিয়ে জামালের বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন মিডফিল্ডার জুয়েল রানা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গেই বল ক্লিয়ার করেন জামালের ডিফেন্ডাররা। ৩৬ মিনিটে শেখ জামালও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নষ্ট করে। এসময় বল নিয়ে প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে শট নিতে যান জামাল অধিনায়ক ওয়েডসন এনসেলমে। কিন্তু তার পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে আবাহনীকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক শাকিল। পরের মিনিটেই দারুণ একটা সুযোগ হাতছাড়া করেছেন আবাহনীর সেনেগালের ফরোয়ার্ড সারা কামারা। জুয়েল রানার ক্রসে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু তার শটটা ততোটা জোড়ালো ছিলো না। ফলে খুব সহজেই বল আয়ত্বে নেন জামালের গোলরক্ষক হিমেল। প্রথমার্ধটা ম্যারম্যারে হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায় ঢাকা আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ৩ মিনিটের মাথাতেই নিজেদের ভুলে এক গোল হজম করে শেখ জামাল। ৪৮ মিনিটে আবাহনীর বক্সে কামারা সার্বাকে ফেলে দেন জামালের ডিফেন্ডার কেস্ট কুমার। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। লি টাকের শটে বল জালে জড়ায় (১-০)। ৫০ মিনিটে সানডের ক্রসে শট নিয়েছিলেন লি টাক। কিন্তু বল ফিরিয়ে দেন জামাল গোলরক্ষক। ফিরতি বলে আবারো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন লি টাক (২-০)। ৬০ মিনিটে আরো একবার জামালের জালে বল পাঠায় আবাহনী। লি টাকের ক্রসে দর্শণীয় প্লেসিং শটে গোল করেন সানডে সিজোবা (৩-০)। বড় ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে ফিরে আসাটা বেশ কঠিন। তাই আবাহনী শিবির একরকম নিশ্চিতই হয়ে গেছিলো যে ফাইনালের টিকিটটা তারাই পেতে যাচ্ছে। তাই চতুর্থ গোল পাবার পর হামাগুড়ি দিয়ে সানডের ব্যতিক্রমী গোল উৎজাপনটাই বলে দিচ্ছিলো আনন্দটা কতো। ৬৪ মিনিটে দূরপাল্লার শটে গোল করেন সানডে সিজোবা (৪-০)। ৮১ মিনিটে জুয়েল রানার ক্রসে হেড দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড (৫-০)। ৮৩ মিনিটেই বক্সের কোনা থেকে বাকানো শটে লক্ষ্যভেদ করে শেখ জামালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন সানডে সিজোবা (৬-০)। ম্যাচের বাকি সময় আরো কোন গোল না হওয়ায় ৬-০ গোলের জয়েই ফাইনালে যাবার খুশি উদজাপন করে আবাহনী শিবির। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী খেলবে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকালে সাড়ে ৫টায় ম্যাচটি শুরু হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন