শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

আজ ৪ ডিসেম্বর লক্ষীপুর হানাদার মুক্ত দিবস

লক্ষীপুর থেকে মো. কাউছার : | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

আজ ৪ ডিসেম্বর লক্ষীপুর হানাদার মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধকালীন সময়ে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা এ দেশিয় দোসর রাজাকার আল বদরের সহায়তায় লক্ষীপুর জেলার ৫টি উপজেলায় ব্যাপক অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণ শেষে শত শত নিরীহ জনসাধারণকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। তখন দামাল ছেলেরা ১৭ বার সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে হানাদারদের প্রতিহত করে লক্ষীপুরকে মুক্ত করে।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সুত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন ৯ মাসে লক্ষীপুরের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চলে।

এসব যুদ্ধে সৈয়দ আবদুল হালীম বাসু, মনছুর আহমদ, আবু ছায়েদ, আবুল খায়ের, নজরুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, আতিক, মোস্তাফিজুর রহমান, আলী আহাম্মদ (ইপিআর) সহ ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পাকহানাদার বাহিনীর হাতে জানা অজানা কয়েক শত নর-নারী নিহত হয়। ডিসেম্বরের এ দিন মরহুম মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হায়দার চৌধুরীর এবং সুবেদার মরহুম আবদুল মতিনের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা একত্রিত হয়ে দালাল বাজার, লক্ষীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি, শাখারী পাড়ার মিঠানীয়া খাল পাড়সহ বাগবাড়িস্থ রাজাকার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে লক্ষীপুরকে হানাদার মুক্ত করেন। প্রায় দেড় শতাধিক রাজাকারকে আটক করে এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে। প্রকাশ্যে লক্ষীপুর শহরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসব নারকীয় হত্যাযজ্ঞের আজও নীরব সাক্ষী হয়ে আছে শহরের বাগবাড়িস্থ গণকবর, টর্চারসেল, মাদাম ব্রিজ বধ্যভূমি, পিয়ারাপুর ব্রিজ বাসুবাজার গণকবর, চন্দ্রগঞ্জ, রসুলগঞ্জ ও আবদুল্যাপুর এবং রামগঞ্জ থানা সংলগ্ন বধ্যভুমি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন