বেনাপোল অফিস ঃ সীমান্তবর্তী শার্শা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে জিরা চাষ। বীজ থেকে জন্ম নেয়া জিরা গাছে সারামাঠ ভরে গেছে সুরভিত ফুল আর ফলে।
আব্দুল হাই নামে শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের মাঝামারা গ্রামের এক সৌখিন চাষি ইরান থেকে আসা এক আত্মীয়ের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করে জিরার চাষ।
জিরা চাষে সফলতা পর অত্যন্ত লাভবান জিরা চাষের প্রসার বৃদ্ধি করতে বীজ হিসাবে জিরা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কৃষি বিভাগ বলছে, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় জিরা চাষ সম্ভব। এ জাতীয় মসলার চাষ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে।
সখের বসে ওই আত্মীয়ের কাছ থেকে মাত্র ২শ’ গ্রাম জিরা বীজ কিনে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ১৫ শতক জমিতে বীজ বপন করেন তিনি। অল্প খরচে ২ মাস যেতে না যেতেই আব্দুল হাই তার জমিতে জিরার ফুল আর ফল দেখতে পান। এখন মাঠে জিরার সুরভিত গন্ধে প্রতিদিন দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বাড়ছে।
মাত্র ১৫ শতক জমিতে জিরা উৎপাদন করতে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে মাত্র ৩ হাজার টাকা। গাছ থেকে জিরা সংগ্রহ করে ২/৪ দিন রোদে শুকানোর পর বাজারজাত করা যাবে এ জিরা। রান্নার মসলার কাজে ব্যবহার করা উপযোগী উৎপাদিত এ জিরা চাষের প্রসার বৃদ্ধি করতে আব্দুল হাই এ বছর জিরার বীজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি তার উত্পাদিত জিরা বীজ হিসাবে বিক্রি করে মোটা অংকের মুনাফা লাভ করবেন বলে আশা করছেন।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার জানান, শার্শা উপজেলায় এ বছর ৪২৫ হেক্টর জমিতে মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ১৫ শতক জমিতে এই প্রথম জিরা চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো।
একরে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ২০ মণ জিরা উৎপাদন করা সম্ভব। যা থেকে কৃষকের লাভ হবে ২ লাখ টাকা। তাছাড়া বাংলাদেশের আবহাওয়ায়ও জিরা চাষ সম্ভব। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাণিজ্যকভাবে এর চাষ বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন