বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আকর্ষণের শীর্ষে প্লাস্টিক পণ্য

প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা আকর্ষণের শীর্ষে রয়েছে প্লাস্টিক পণ্য। দামে সহনীয় ও দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় মেলার শুরু থেকেই এ পণ্যের বেচাকেনা হচ্ছে জমজমাট। বিক্রেতাদের চোখে-মুখেও তাই তৃপ্তির আভা।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, প্লাস্টিক পণ্যের প্যাভিলিয়নগুলোতে অন্য প্যাভিলিয়নগুলোর তুলনায় সারাদিনই বেশী ভিড়। বাণিজ্যমেলায় প্লাস্টিকের বাটি, মগ, জগ, চেয়ার, টেবিল, র‌্যাক, টায়ার, ডোর, ফিটিংস, টুল, সোফাসেট, ওয়ারড্রোব, খাটসহ প্রায় সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। শিশুদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রকমের খেলনা।
মেলায় কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসমাউল হুসনা বৃষ্টির সাথে সাথে। তিনি বলেন, এই বছরই আমি মেলায় প্রথম এসেছি। মেলায় অন্যান্য জিনিস ভাল লাগলেও প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেশি ভাল লাগছে।
মেলায় নামকরা ব্র্যান্ডের প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। বেঙ্গল, আরএফএল, পারটেক্স, ন্যাশনাল পলিমার, তানিনসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যের প্যাভিলিয়নে বাহারী পণ্য ক্রেতাদের বেশি আকর্ষণ করছে।
মিরপুর থেকে আসা রাহুল বলেন, আমাদের দেশের প্লাস্টিক পণ্যগুলো খুবই উন্নত মানের। এগুলো আকর্ষণীয় ও বেশিদিন টেকে। তাই মেলায় এলে আমি সব সময় প্লাস্টিকের পণ্যই বেশি কিনি।
প্রাণ-আরএফএলের প্যাভিলিয়নে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ডিজাইনের জগ, সবজিকাটা বোর্ড, বিভিন্ন সাইজের বাটি, ফুড বক্স, গামলা, বালতি, ঝুড়ির চাহিদা বেশি। ন্যাশনাল পলিমারের ৩২ নম্বর প্যাভিলিয়নে গিয়ে দেখা যায়, নানা রকম আকর্ষণীয় পণ্যের সমাহার। রয়েছে নানান রকমের ডোর, চেয়ার, টেবিল, কন্টেইনার, পিএলএইচ ডিজাইন বাকেট, বেবি ডরিমন চেয়ার, ওভেন মগ, স্মার্ট র‌্যাক, পেপার বাসকেট, সোপ কেস ও শার্ট হ্যাঙ্গার।
ন্যাশনাল পলিমারের বিক্রেতারা জানান, তাদের পণ্য তৈরি হয় ১০০ শতাংশ আমদানিকৃত বিদেশি ফুডগ্রেড কাঁচামাল দিয়ে অটোমেটিক মেশিনে। এ পণ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো বৈচিত্র্যময় রঙের ব্যবহারে নজরকাড়া রুচিশীল ও আধুনিক ডিজাইন। ন্যাশনাল পলিমারের ফুড কন্টেইনার ও টিফিন বক্স ওভেন প্রæফ, যা খাবার রাখে সতেজ ও স্বাস্থ্যসম্মত। সকল গৃহস্থালী পণ্যই এক্সপোর্ট কোয়ালিটি, যা বাজারের সেরা বলে দাবি করেন প্রতিষ্ঠানটির বিক্রেতারা।
আরএফএল প্যাভিলিয়নের বিত্রেæতা বলেন, আমরা বেচা-বিক্রিতে সন্তুষ্ট। গতবারের চেয়ে এ বছর বিক্রি ভালো হচ্ছে। সামনে আর যে কয়দিন আসে এখনও ভালো বিত্রিæ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন