চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি ছিল। অক্টোবরে এসে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে যে পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে, তা আগের একই সময়ের চেয়ে কম। এর প্রভাবে চলতি হিসাবের ঘাটতিও এখন আগের চেয়ে কম।
বাংলাদেশ ব্যাংক অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, জুলাই-অক্টোবর সময়ে পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি হয়েছে ৫৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার; গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৭৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। রফতানিতে আগের চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ও আমদানিতে কম প্রবৃদ্ধির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে। এ সময়ে রফতানি আয় বেড়েছে ১৮ দশমিক শূন্য আট শতাংশ। আর আমদানি ব্যয় বেড়েছে নয় দশমিক ২৮ শতাংশ।
রফতানিতে চাঙ্গা ভাবের পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আয়ে তুলনামূলক ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে চলতি হিসাবেও ঘাটতি কমে এসেছে। আলোচ্য চার মাসে চলতি হিসাবে ঘাটতির পরিমাণ ১৯৯ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হিসাবে ৩৩৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের ঘাটতি ছিল। জুলাই থেকে অক্টোবর সময়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ। অবশ্য আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত কমে যাওয়ায় সামগ্রিক লেনদেনে বাংলাদেশের ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ২২ কোটি ২০ লাখ ডলার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন