শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

খো খো’র লক্ষ্য স্বর্ণপদক

প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জাহেদ খোকন : দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে এবারই প্রথম অন্তর্ভুক্ত হলো খো খো ডিসিপ্লিন। গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসের ২৩ ডিসপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নেবে ২২টিতে। যার অন্যতম হচ্ছে খো খো। গেমসে এই ডিসিপ্লিনের পুরুষ ও মহিলা দু’বিভাগেই খেলবেন লাল-সবুজের ক্রীড়াবিদরা। প্রথম অংশগ্রহণকে তারা স্মরণীয় করেই রাখতে চান। দু’দলেরই লক্ষ্য এসএ গেমসের ১২তম আসরে স্বর্ণপদক জেতা। লক্ষ্যপূরণে এখন তারা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। আসরে নিজেদের সেরা পারফরমেন্স দেখাতে গত ২ নভেম্বর ময়মনসিংহের ফিজিক্যাল কলেজে পুরুষ ও ধানমন্ডি মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে মহিলাদের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করে খো খো ফেডারেশন। দেশের বিভিন্ন জেলার খেলোয়াড়দের নিয়ে শুরু হয় এই ক্যাম্প। প্রাথমিক ক্যাম্পে পুরুষ দলে ২৫ জন থাকলেও মহিলা দলে ছিলো ২৭ খেলোয়াড়। বাছাই শেষে জাতীয় পুরুষ ও মহিলা খো খো দলের চুড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পান ১৫ জন করে খেলোয়াড়। এদের নিয়েই এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ের মিশনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দুই কোচ মোহাম্মদ আবদুল হাকিম মিয়া ও আবদুল মুনাফ সরকারের। পুরুষ দলে কায়সার জাহিদ ও মহিলা দলে সাইদুল হক সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রায় তিনমাস ধরে অনুশীলন ক্যাম্পে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন কোচরা। কোচদ্বয়ের স্বপ্নপূরণে প্রতিদিন দু’সেশন অনুশীলন করছেন খেলোয়াড়রা। দল নিয়ে বেশ আশাবাদি কোচ হাকিম ও মুনাফ। পুরুষ দলের কোচ আবদুল হাকিম বলেন, ‘অন্যান্য ডিসিপ্লিনের তুলনায় আমরা তিন মাস পর অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করলেও দলের প্রস্তুতিতে আমি সন্তুষ্ট। রাজধানীর বাইরে এসে প্রায় তিনমাস ছেলেরা নিবিড় অনুশীলন করেছে। আমাদের লক্ষ্য স্বর্ণপদক হলেও রুপা জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদি।’
মহিলা দলের কোচ মুনাফ সরকারের কথা, ‘এই প্রথম আমাদের মেয়েরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খো খো খেললেও দল নিয়ে আমি আশাবাদি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য স্বর্ণপদক। যদিও ভারতে খেলাটি বেশী প্রচলিত বলে তারাই বরাবর সেরা এই ডিসিপ্লিনে। তাই আমি মনে করি গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে আমাদের মুল লড়াইটা হবে ভারতের সঙ্গেই। এক্ষেত্রে গেমসে আমরা স্বর্ণের জন্য লড়লেও রৌপ্যপদক জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি আমি।’
মুনাফ আরো বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খেলোয়াড় এনে তাদেরকে সেরা হিসেবে গড়ে তুলছি আমরা। আশাকরি এসএ গেমসে দেশের মান রাখতে পারবে মেয়েরা। ঘাসের মাঠে অনুশীলন হলেও দলের প্রস্তুতিতে আমি সন্তুষ্ট। তবে ম্যাটে অনুশীলন করলে বেশী ভালো হতো। কারণ আমরা গৌহাটিতে ম্যাটেই খেলবো।’
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও এসএ গেমস খো খো ডিসিপ্লিনের জুরি বোর্ডের সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল বলেন, ‘প্রথম লক্ষ্য স্বর্ণপদক। তবে ভারত শক্তিশালী হলেও শ্রীলংকা এবং পাকিস্তানকেও হালকাভাবে দেখার অবকাশ নেই। যতটুকু জেনেছি এ দুই দেশও নিজেদের সেরা হিসেবেই তৈরী করেছে। তারপরও আমি আশাবাদি গেমসের দু’বিভাগেই স্বর্ণ হাতছাড়া হলেও আমরা রৌপ্য জিততে পারবো। আমাদের প্রস্তুতিও সেরকম হয়েছে।’
দলের সিনিয়র খেলোয়াড় পঞ্চগড় জেলার হ্যাপী বেগম মনে করেন এসএ গেমসে তার দলের সামর্থ্য রয়েছে স্বর্ণপদক জেতার। এ ব্যাপারে তিনি বেশ আশাবাদিও। হ্যাপী বলেন,‘অনুশীলনে আমরা প্রথম দিন থেকেই লক্ষ্যস্থির করেছি, গৌহাটি থেকে খালি হাতে ফিরবো না। সেই লক্ষ্যে কোচ আমাদের সেরা হিসেবে গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় গেল ক’মাস ক্যাম্পে আমরা খুবই ভালো আছি। আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। গেমসে প্রধান লক্ষ্য স্বর্ণপদক জয় করা হলেও রৌপ্য পাবো এটা নিশ্চিত। তবে যেহেতু এই খেলায় ভারত শক্তিশালী তাই বাংলাদেশের স্বর্ণের লড়াইটা হবে তাদের সঙ্গেই। আমরা চেষ্টা করবো ভারতকে হারিয়ে সেরা হতে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন