তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, তার দেশের সেনাবাহিনী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে মার্কিন সমর্থিত কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে ‘যেকোনো মুহূর্তে’ নতুন করে অভিযান শুরু করতে পারে। সোমবার তিনি তুরস্কের মধ্যাঞ্চলীয় ‘কোনিয়া’ প্রদেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই প্রস্তুতির কথা জানান। তিনি বলেন, ফোরাত নদীর পূর্ব তীরে কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী- ওয়াইপিজি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এ অভিযান চালানো হবে। ওয়াইপিজিকে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকে’র বর্ধিত সংস্করণ ও একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে মনে করে তুরস্ক। তুরস্কের অভ্যন্তরে কুর্দিদের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠনের লক্ষ্যে ১৯৮৪ সাল থেকে আঙ্কারার বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই করছে পিকেকে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে আরো বলেন, “আমরা যেকোনো মূহূর্তে সিরিয়ার অভ্যন্তরে যেকোনো স্থানে বিশেষ করে আমাদের ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অভিযান শুরু করতে পারি; তবে এই অভিযানে মার্কিন সেনাদের কোনো ক্ষতি হবে না।” এরদোগান বলেন, এই অভিযানের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিবাচক সংকেত দিয়েছেন। কাজেই ফোরাত নদীর পূর্ব তীরে তার ভাষায় ‘জঙ্গি অধ্যুষিত’ এলাকায় ‘যা কিছু করা প্রয়োজন’ তার সবই করবে তুরস্ক। ওয়াইপিজি গেরিলাদেরকে ওই এলাকা ত্যাগ করতে হবে- জানিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্ক সীমান্তে তারা সমস্যা তৈরি করছে যা সহ্য করা আঙ্কারার পক্ষে সম্ভব নয়। এর আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগøু বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ গণতান্ত্রিক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হলে তার সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি বিবেচনা করবে আঙ্কারা সরকার। ১৮তম দোহা ফোরামে দেয়া বক্তৃতায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হলে সবাই প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের সঙ্গে কাজ করতে চাইবে। স্বচ্ছ নির্বাচনের পর চূড়ান্তভাবে সিরিয়ার জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে ক্ষমতায় পাঠাবে। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সিরিয়ার জনগণকেই দেশটির নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে। আনাদোলু, পার্সটুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন