শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

রাবাদার ইতিহাসে কাঙ্খিত জয়

প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : কেপটাউন থেকে সেঞ্চুরিয়ান। দূরত্বটা কতই বা হবে? কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকানদের কাছে সেটা এক বছরেরও বেশি দূরের পথ! গতকালের আগে তারা সর্বশেষ জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই কেপটাউনে। তারপর কেটে গেছে এক বছরেরও বেশি সময়। কোন জয়ের দেখা নেই। যে কারণে টেস্ট র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ পদটাও হারাতে হয়েছে ভারতের কাছে। অবশেষে সেঞ্চুরিয়ানে গতকাল সেই ‘অভিমানীর’ দেখা পেল প্রটিয়ারা। ইংল্যান্ডকে হারালো ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে। বলতে গেলে ম্যাচে ইংলিশদের একাই ধরাশায়ী করেছেন তরুন পেস বোলার ক্যাসিগো রাবাদা। ক্যারিয়ারের প্রথম ১০ উইকেট তো বটেই, সেই সাথে ১৩/১৪৪’র যে বোলিং ফিগার তৈরি করলেন সেটা প্রটিয়াদের হয়ে ২য় সেরা।
উইকেট যেভাবে আচরণ করছিল তাতে ৪র্থ দিন শেষে এবি ডি ভিলিয়ার্স বাহিনীর জয়টা অনুমিতই ছিল। তাই বলে ৬৬ মিনিট আর মাত্র ৮২ বলের লড়াইয়েই যে ইংলিশরা বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে বসবে এ তো ভাবনারও অতীত। ১০১ রানে যখন রাবাদার শিকার হয়ে শেষ ব্যাটম্যান হিসাবে স্টুয়ার্ট ব্রড ফেরেন, লক্ষ্য থেকে তখনও ২৮০ রান দূরে ইংলিশরা। পানি পানের বিরতির আগেই ম্যাচ শেষ। এমন জয়ে অবাক হয়েছেন ডি ভিলিয়ার্সও। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পাওয়া এই ব্যাটসম্যান বলেনÑ ‘সকালের এই সময়েই ৭ উইকেট নিয়ে আমরা যা করেছি, সেটা আমাদের ধারণাতেই ছিল না।’
প্রটিয়াদের হয়ে শুরুটা মরণে মরকেলের হাত ধরে দিনের ২য় ওভারে জেমস টেইলরকে ফিরিয়ে। আগের দিনের (৫২/৩) সাথে দলীয় ইনিংসে ৬ ও ব্যক্তিগত ইনিংসে ৫ রান যোগ করেই ফেরেন টেইলর (২৪), ইংলিশদের ইনিংসে যা ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। পরের ওভারেই জো রুটকে (২০) ফেরান ডেন পিওট। এরপরই দৃশ্যপটে আসেন রাবাদা। আগের দিন দুই উইকেট নিয়ে কাজটা সহজ করে রেখেছিলেন প্রটিয়াদের হয়ে গেল বার জুবা বিশ্বকাপের এই নায়ক। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৬ উইকেট। ১৩২ রানের খরচায় সমান সংখ্যক উইকেট নিয়ে দেশের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি মাখায়া এনটিনির দখলে। তবে দেশের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ (২০ বছর) বোলার হিসেবে ১০ বা তার অধিক উইকেট নেয়ার রেকর্ডটি এখন রাবাদার দখলে।
এই জয়কে অন্তত কিছুটা হলেও ডারবান আর জেহানোসবার্গের ক্ষতের ওপর সান্তনার প্রলেপ বলা যেতে পারে। তাছাড়া ৩-০’র চাইতে ২-১ ব্যবধানটা নিশ্চয় কিছুটা হলেও পরাজিত দলের জন্য মানানসই। ম্যাচ শুরুর আগে যেমনটি বলেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স।
দ.আফিকা : ৪৭৫ ( ডি কক ১২৯*, কুক ১১৫, আমলা ১০৯, স্টোক ৪/৮৬) ও ২৪৮/৫ ডি ক্লে. (আমলা ৯৬, বাভুমা ৭৮)। ইংল্যান্ড : ৩৪২ (রুট ৭৬, কুক ৭৬, মঈন ৬১, রাবাদা ৭/১১২) ও ১০১ (রাবাদা ৬/৩২, মরকেল ৩/৩৬)। ফল : দ. আফ্রিকা ২৮০ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : ক্যাসিগো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)। ৪ ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী। সিরিজ সেরা : বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন