শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

‘অল-স্প্যানিশ’ ফাইনালটা হলো না

প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : একটুর জন্য ইউরোপিয়ান দুই ক্লাব টুর্নামেন্টেই ‘অল-স্প্যানিশ’ ফাইনালটা ফসকে গেল। মাদ্রিদের দুই দল রিয়াল ও অ্যাটলেটিকো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আগেই। ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্লাব ফুটবলেও তৈরি হয়েছিল সেই সম্ভবনা। পরশু শাখতার দোনেষ্কেকে ৩-১ গোলে হারিয়ে রেকর্ড টানা তৃতীয়বারের মত উয়েফা ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে সেভিয়া। কিন্তু লিভারপুলের কাছে লা লিগার আরেক দল ভিয়ারিয়াল ৩-০ গোলে হেরে যাওয়ায় ইউরোপের শীর্ষ দুই ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতায় ‘অল-স্প্যানিশ’ ফাইনালটা হল না।
প্রথম লেগ শেষে অবশ্য মনে হচ্ছিল স্পেনের দুই দলই যাচ্ছে ফাইনালে। ইউক্রেন থেকে মূল্যবান দুটি এ্যাওয়ে গোল সহ ২-২ গোলে ড্র করে ফিরেছিল সেভিয়া। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রেকর্ড ৪ বারের চ্যাম্পিয়নদের জয়ই প্রত্যাশিত ছিল। ফরাসি ফরোয়ার্ড কেভিন গামেইরোর জোড়া গোল ও ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফেরেইরা ফিলহোর গোলে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয় সেভিয়ার। ওদিকে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতে সেই পথেই ছিল তাদের লিগ স্বতীর্থ ভিয়ারিয়াল। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে ভাগ্য সহায় ছিল না তাদের। ম্যাচের শুরুতেই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ব্রæনো সরিয়ানোর আত্বঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়ে ভিয়ারিয়াল। সব প্রতিযোগিতা মিলে ২৮০ মিনিট পর ভিয়ারিয়ালের জালে বল জড়াল, তাও আবার আত্বঘাতি। আর দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ৩০ মিনিট তাদের খেলতে হয় ১০ জনের দল নিয়ে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের দন্ডে মাঠ ছাড়তে হয় ভিয়ারিয়ালের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ভিক্টর রুইজকে। ম্যাচে তাই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। ইয়ুর্গুন ক্লপের দলের হয়ে বাকি দুই গোল করেন ড্যানিয়েল স্ট্যারিজ ও ললনা। দুই লেগ মিলে তাদের জয়টা ৩-১ গোলের।
সর্বশেষ ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এসি মিলানের কাছে হারেছিল লিভারপুল। এরপর পর ইউরোপিয়ান আর কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা হয়নি তাদের। কাজটি যে সহজ নয় সেটা স্বরণ করিয়ে দিয়ে রেড কোচ ক্লপ বলেনÑ ‘অনেক দলই ফাইনালে যেতে চায় কিন্তু এটা সহজ নয়। তবে এটা ভালো একটা সুযোগ এবং এই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে চাই।’ জার্মান কেচ আরো বলেনÑ ‘যখন আপনি নৈপূণ্য দেখাবেন যেমনটা আমরা দেখিয়েছি তখন আপনি এটা ধরে রাখতে চাইবেন এবং এটাই আমরা চেয়েছিলাম।’ এর আগে উয়েফা কাপ/ইউরোপা কাপের ফাইনালে তিন বার উঠে তিন বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আনফিল্ডের দলুট। ৭ বার ইউরোপিয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে ৫ বার শিরোপা জেতে তারা। সব মিলে ১১টি ইউরোপিয়ান ট্রফি রেডদের শোকেসে।
ওদিকে সেভিয়াকে হাতছানি দিচ্ছে সামনে টানা তৃতীয়বারের মত ইউরোপা লিগ শিরোপা। ৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতোমধ্যেই আসরের সবচেয়ে সফল দল তারা। আর ইংল্যান্ডের ঐতিয্যবাহী দলকে ডাকছে টানা ৯ বছর ইউরোপিয়ান শিরোপা ক্ষরা কাটাতে। সেভিয়া-লিভারপুল ফাইনালের লড়াইয়ে শিরোপার আড়ালে লুকিয়ে আছে আরো একটি হিসাব। নিজেদের ঘোরোয়া লিগে ভালো অবস্থানে নেই কোন দলই। দুই দলেরই অবস্থান পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ পাঁচের বাইরে। আগামী আসরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রæপ পর্বে জায়গা করে নিতে তাই এটিই তাদের একমাত্র সুযোগ। সুযোগটা কারা কাজে লাগাতে পারবে তা জানা জাবে আগামী ১৮ মে সুইজারল্যান্ডের বাসেলে ফাইনালের পর। এক নজরে

লিভারপুল Ñ ভিয়ারিয়াল
০ ১ম লেগ ১
৩ ২য় লেগ ০
দুই লেগ মিলে ৩-১ গোলে ফাইনালে লিভারপুল
সেভিয়া Ñ শাখতার দোনেৎস্ক
২ ১ম লেগ ২
৩ ২য় লেগ ১
দুই লেগ মিলে ৫-৩ গোলে ফাইনালে সেভিয়া
ষ ইউরোপা লিগে ঘরের মাঠে ২১ ম্যাচ থেকে মাত্র একবারই কোন গোল করতে পারেনি লিভারপুল। পর্তুগিজ ক্লাব ব্রাগার বিপক্ষে ২০০০ সালে (০-০)।
ষ ড্যানিয়েল স্ট্যারিজ আনফিল্ডে গত ৫ ম্যাচে ৪ গোল করলেন।
ষ তৃতীয়বারের মত ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় স্প্যানিশ প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হবে লিভারপুল। ১৯৮১ সালে ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে তারা রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছিল ১-০ গোলে এবং উয়েফা কাপের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় দিপোর্তিভো আলভাসকে ৫-৪ গোলে হারিয়েছিল রেডরা।
ষ ইউরোপিয়ান শীর্ষ টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনালে ৪ বার উঠেছে ভিয়ারিয়াল। কোনবারই তারা এই গন্ডি পেরুতে পারিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন