সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

কবিতা

তরুণ

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

সুমন আমীন

ম্যাচিং ভালোবাসা

পরিযায়ী পাখি হয়ে দেশে দেশে ভাসি
তুমিইতো দেখিয়েছো জীবনের রূপ
নীল সমুদ্রের জল বড়ো ভালোবাসি
ভগ্ন হৃদয় মন্দিরে জ্বেলে দাও ধূপ।
তুমি আমি এক হলে চাঁদ লাজ পায়
ভ্রহ্মান্ডের সেরা জুটি মুখে মুখে শুনি
অবাক নয়নে দেখো সবাই থাকায়
ধূসর মরুর বুকে প্রেম বীজ বুনি।
আমাদের প্রণয়ের সাক্ষী মহাকাল
মহুয়া চাঁদের মতো ইতিহাস হবো
আগামীর প্রত্মবিদ গুপ্ত যুগ পাল
যতো খনন করুক আড়ালেই রবো।
বাহিরের অবয়বে মিল খুঁজো কেনো
হৃদয় ম্যাচিং হলে বাহির কে চায়
আমাদের প্রেম মানে বল­াল সেন ও
দারুচনি দ্বীপে চলো জোছনা পোহায়।

এস এম রাকিব
হেমন্তিনী

হেমন্তিনী, চোখ মেলে দেখ-
মুঠো মুঠো স্বপ্ন ছড়িয়ে তোমার নিকানো উঠোন।
তুমি চেয়ে দেখ,
টুকরো টুকরো সোনা রোদ
তোমার অষ্টাদশীর চিবুক ছুয়ে আঁছড়ে পড়ে দিগন্তের প্যাভিলিয়নে।
মটরশুটির ভেজা শরীর চুইয়ে ঝরে পড়ে বিলাসী স্বপ্ন, রোদ জ্যোস্ নার খুনসুটি।
হেমন্তিনী - অবগুন্ঠন মেলে দেখ
বিহঙ্গের ডানায় রোদের নরম গন্ধে
তোমার আবেশী কারুাজ।
প্রত্যাশার ভাজে ভাজে অপ্রাপ্তির শুন্যতা
প্রেম আর সমৃদ্ধির স্থির ক্যাটালগ।
হিম্ হিম্ আলতো ছোয়ায় মাটির অধর চুমে বড় হয় তোমার উত্তরাধিকার।
তুমি দেখ, দেখ প্রেয়সী আমার।


বেলাল মোহাম্মদ
সোনাই শূন্য পরবাসী

কনক চাঁপা চন্দ্রমল্লিকা কিংবা হাসনাহেনা গুঁজে দেইনি কখনো, তার দীঘল কেশিখোঁপায়, যে নারী বুক ডুবা নোনায় হেঁটেছে এতটা পথ.... এক মুঠো প্রশান্তি অন্বেষণে ভেঙেছে সকাল -দুপুর রাত্রির ভাঁজ, শাক খুঁটা আঙুলের যত্ম-আত্মীতে গুঁছিয়েছে অনটনের জীর্ণ সংসার!
পথের ঘাস ফুলের বাহারি রঙের চিত্রকলা নষ্ট হয়েছে কত অযত্ম - অবহেলায়.... আঠারো অক্টোবর মানে যুগল আত্মার কী এক পাগল সুখোস্মৃতি, যা দৃষ্টির আড়ষ্টতায় খসে পড়ে পাঁজরে পাঁজর.... লকলকে বাড়ে মায়ার পরিধি!
সুখের ভাগ ফলে এখন, সোনাই শূন্য পরবাসী... আত্মঘাতী কষ্টের বাঁধভাঙা আকুলতায় দাঁড়াই দু দন্ড জামরুল আমলকি রোয়াইল পুষ্পের মুখোমুখি, দেখি- বৈরাগ্য বাতাস কেড়ে নেয় সকল শুদ্ধতার স্নিগ্ধ বসন!
গাঢ় দীর্ঘশ্বাসে ডাউন পান্ডাং, ডাউন কারি, ডাউন গ্রের অবুজ ঠোঁট জুড়ে গড়ায় রূপালী জলের চৌচিরতা।

নোট - ডাউন পান্ডাং, ডাউন কারি, ডাউন গ্রে, মালোয়শিয়ার এক জাতীয় উদ্ভিদ, যা রন্ধনশৈলীতে ব্যবহৃত হয়।

রওনক তানি
মরা আঙিনায়

মরা আঙিনার মাঝে দাঁড়িয়ে
আমি এখন করি আতর, লোবান,
বরই পাতার গরম জলের খোঁজ।
কিন্তু এই আঙিনা ছেড়ে দূরে যাবো
সাধ্য যে আমার নাই।
কেউ পেচিয়ে গলা,কেউ জড়িয়ে কোমর,
কেউ বা আবার ধরে আছে সর্বস্ব।
স্বর্ণলতার মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে
থাকা কাউকেই অগ্রাহ্য করার সাহস নেই।
আর এখন স্বর্ণলতাই যেনো আমাকে পরজীবী করে তুলছে নিজ গুণে....
তাই কোনো কিছুকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিও না,
তোমার নিশ্বাস বন্ধ করে সে নিজেই মাটির কাছে গিয়ে শিকড় গেড়ে নেবে।।

আলী এরশাদ
বিশ্বাস ভাঙার নেশা

আশ্রিত দখল করে মনিবের বাড়ি
মনিবের রক্ত দিয়ে প্রিয়ার কপালে দেয় টিপ
একবার সুযোগ পেলেই মানুষের স্বভাব এমন
দ্বিধাহীন পানিতে ডুবায় গুরুর প্রদীপ।
মানুষের রক্তে আছে বিশ্বাস ভাঙার নেশা
এ বিশ্ব সংসারে দেখি কত অপ্রিয় অধ্যায়
নুহুর প্লাবন থেকে অদ্যাবধি
সাদা-কালো সকল মানুষ
শিয়ালের মতো মত্ত চতুর খেলায়।
চারদিক বৃক্ষ দেয়াল,পাখির ডানায় আকাশ
গ্রামগঞ্জ শহর বন্দর শেকড়ে বাঁধা জন্ম সুখ
মানুষেরা গায় গান শোভিত কণ্ঠে,আদিগন্তর সুর
প্রাণে ছেপে যায় বর্ণমালার দুহাত, শ্যামলে শিহরণ
আজও দেখি নিঃসন্দেহে-লাল সবুজ মুক্তির বিবরণ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন