শেষ হলো চট্টগ্রাম ক্রীড়াঙ্গণের আরো একটি বছর। বছরজুড়ে কতটা সরব ছিল চট্টগ্রাম ক্রীড়াঙ্গণ বা কতটা মাঠে ছিল চট্টগ্রামের খেলাধুলা বা জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে কি পেয়েছে চট্টগ্রাম তার হিসেব কষছে এখন অনেকেই। হারিয়ে যাওয়া গত বছর চট্টগ্রাম ক্রীড়াঙ্গণ ছিল সরব। অর্জিত হয়েছে লাকি ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে, ক্রিকেটে নাঈমের বিশ্ব রেকর্ড, মুমিনুলের রেকর্ড, তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ, স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি স্বচক্ষে দেখা, চট্টগ্রামে ব্রাজিলের সমর্থনে মুগ্ধ রাষ্ট্রদূত, গ্রান্ড মাস্টার দাবা টুর্নামেন্ট, বিশ্ব দাবা সংস্থা এশিয়ান জোনের সভাপতির পদ পাওয়া, আন্তর্জাতিক সুইমিং পুল, ঘরোয়া ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায়।
সবচাইতে আলোচিত বিষয় ছিল আউটার স্টেডিয়ামে খেলার মাঠে মেলা এবং লাকি ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কিছু অংশ চেয়ারবিহীন গ্যালারী ও প্লাস্টিকের ভাঙ্গা চেয়ার। অথচ এ ভেন্যুটি ২০০৪ সালে আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গণে যাত্রা শুরু করেছিল। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ভেন্যুর পূর্ণ মর্যাদা পায়। ২০১১ বিশ্বকাপের জন্য প্রচুর সংস্কারও হয়েছিল এ ভেন্যুটি। এরপর আর কোন বড় সংস্কার না হওয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলে গেছে এ ভেন্যুতে। অথচ এ ভেন্যু থেকে চেয়ারবিহীন গ্যালারী ও ভাঙ্গা চেয়ার পাল্টানোর জন্য একটি তালিকা তৈরি করে বিসিবি ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে চিঠিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু উত্তর আসেনি সেই চিঠির।
এছাড়া চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে খেলার মাঠে বসেছিল তাঁতবস্ত্র ও জামদানি মেলা। যেখানে আউটার স্টেডিয়াম সরব থাকতো খেলার জন্য তা ব্যবহৃত হয়েছিল খেলাধুলার জন্য নয় অন্য কাজে। এমনিতে চট্টগ্রামে খেলাধুলার জন্য মাঠের অভাব, তার উপর আউটার স্টেডিয়ামের মাঠে মেলা বসায় এ নিয়ে চট্টগ্রামবাসীর মাঝে বিরূপ সমালোচনাও হয়েছিল। অথচ চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়াম থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার, ফুটবলার এবং অ্যাথলেট। তাছাড়া স্টার যুব ক্রিকেট, নির্মান স্কুল ক্রিকেট, প্রথম বিভাগ ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল লীগসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো এখানেই। কিশোর ও ক্রীড়ামোদীদের পদচারণায় মুখরিত থাকতো এ মাঠ। মাঠের চারিদিকে হাজার হাজার দর্শক উপভোগ করতো এসব খেলা। এ মাঠটি গত বছরের বেশিরভাগ সময় ছিল মেলার দখলে। ঈদবস্ত্র মেলা, বৃক্ষ মেলা, গাড়ি মেলাসহ আরো মেলা এখানে চলেছিল। মেলার পর বাকি যে সময়টুকু থাকে তখন ট্রাক-মিনিট্রাক স্ট্যান্ড ও বখাটে-ভবঘুরেদের আড্ডা ছিল। যা চট্টগ্রাম ক্রীড়াঙ্গণকে করেছে ম্লান।
নাঈমের বিশ্বরেকর্ড
আকরাম খান, নাফিস ইকবাল, নাজিম উদ্দিন এবং আফতাব আহমেদের পর বাংলাদেশ টেস্ট দলে আছেন একমাত্র চট্টগ্রামের ছেলে তামিম ইকবাল। তামিমের পর জাতীয় দলে কে হবেন চট্টগ্রামের প্রতিনিধি তা ছিল দুশ্চিন্তার বিষয়। কারণ তামিমের পর এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না যিনি জাতীয় দলে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। অবশেষে সেই অভাব পূরণ করলেন গত ২৪ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হওয়া নাঈম হাসান। সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের এই ছেলে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন লাকি ভেন্যু জহুর আহমদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে। মাত্র ১৭ বছর ৩৫৫ দিন বয়সে এই কৃতিত্ব দেখালেন নাঈম। অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্সকে টপকে নাঈম এ কীর্তি গড়লেন। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান এ ফাস্ট বোলার। সে সময় তার বয়স ছিল ১৮ বছর ১৯৩ দিন।
সে দিক থেকে অনেক এগিয়ে নাঈম। নিজের মাঠে টেস্ট অভিষেক হওয়াটাও ছিল একরকম সৌভাগ্য। নিজের অভিষেক টেস্টের প্রথম দিনে তাকে নামতে হয়েছিল ব্যাট হাতে। ব্যাটিংটা আসল কাজ ছিলনা, তার কাজ বোলিং। তারপরও দলের কঠিন সময়ে ব্যাট হাতেও বেশ ভাল করেছেন। ২৬ রান করে আউট হলেও আসল পরীক্ষা অর্থাৎ বোলিংয়ে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। কম বয়সী টেস্ট খেলতে নেমে সবার নজর কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি যে গুরুদায়িত্ব একেবারে নিপুন কারিগরের মতো পালন করেছেন গ্যালারীতে বসা দর্শকরা উপভোগ করেছেন। চট্টগ্রামের এ তরুণের প্রতি চোখ ছিল বিসিবির নির্বাচকদের সেই অনুর্ধ্ব-১৭ বছর বয়সী ক্রিকেটে। তখন এ তরুণ অনর্ধ্ব-১৭ ক্রিকেট খেলেছিলেন। এরপর অনুর্ধ্ব-১৯ বাংলাদেশ এ দল এবং এইচপি দলের হয়ে খেলে নিজেকে পরিণত করেছেন নাঈম। আর সে সময় এ স্পিনারের ওপর নজর ছিল নির্বাচকদের। তার সেই প্রতিভা কাজে লাগাতে দীর্ঘ সময় নজরে রেখেছিলেন বিসিবি নির্বাচকরা। অবশেষে নির্বাচকদের সেই আস্থা পূরণ করেছে নাঈম। পিতা মাহবুবুল আলমের স্বপ্নও পূরণ করলেন নাঈম। নগরীর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুল আলম নিজে ছিলেন ফুটবলার। এরপর হয়েছেন ক্রীড়া সংগঠক। কিন্তু ছেলে জাতীয় ক্রিকেটার হোক সে স্বপ্নটা দেখতেন শুরু থেকেই। আজ তার ছেলের হাতে দেশের মশাল।
টেস্টের বরপুত্র মুমিনুল
কক্সবাজারের ছেলে মুমিনুল হক। ডাক নাম তার সৌরভ। টেস্টে ব্যাট হাতে প্রায়শই সৌরভ ছড়ান তিনি। ২০১৩ সালের ৮ মার্চ শ্রীলংকার গলে টেস্টে অভিষেক হয় মুমিনুলের। অভিষেক টেস্টেই ব্যাট হাতে ফিফটির ইনিংস খেলেন তিনি। অভিষেকের সাত মাস পর ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলতে নেমেই প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুল। মাত্র ৩২টি টেস্ট খেলেই বিশ্ববাসীর আলাদা নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন মুমিনুল। দু’দুবার ডবল সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় গিয়েও তা করতে না পারলেও ইতোমধ্যেই টেস্টে আটটি সেঞ্চুরি ও ১২টি ফিফটির ইনিংস খেলা হয়ে গেছে তার। চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারে অনেকগুলো রেকর্ডের মালিক হয়েছেন তিনি। এরমধ্যে চলতি বছর সাত টেস্ট খেলেই চারটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুমিনুল। এ বছর তার সমান চার উইকেট আছে বিশ্বের মাত্র একজন ব্যাটসম্যানের। তিনি হলেন বিরাট কোহলি। তবে চার সেঞ্চুরি পেতে মুমিনুল যেখানে খেলেছেন সাত টেস্ট, সেখানে ১০ টেস্ট খেলেছেন কোহলি। তাই এই দিক দিয়ে কোহলিকেও ছাড়িয়ে গেছেন ব্যাংলাদেশের এই ‘ব্র্যাডম্যান’। তার এই ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখে দর্শকরা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি
আর কয়েক মাস পরই ইংল্যান্ডে শুরু হবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। ঢাকা, সিলেট হয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রায় সাড়ে ১১ কেজি ওজনের ট্রফিটি আসে। স্টেডিয়ামের জিমন্যাশিয়াম সংলগ্ন টেনিস কোর্টে লালগালিচায় স্থাপিত মঞ্চে ইউনিসেফের উদ্যোগে নগরীর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ট্রফিটি প্রদর্শন করা হয়। এরপর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলে স্বপ্নের সোনালি ট্রফিটি দেখতে স্টেডিয়াম পাড়ায় ভিড় করেছেন ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ। লাইনে দাঁড়িয়ে দর্শকরা ট্রফিটি দেখেছেন। অনেকে স্বপ্নের ট্রফি সামনে পেয়ে তুলেছেন সেলফি। তাদের চোখে-মুখে ছিল উচ্ছাসে ভরা। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, জাতীয় দলের সাবেক চার খেলোয়াড় নুরুল আবেদীন নোবেল, শহিদুর রহমান, নাফিস ইকবাল ও আফতাব আহমেদসহ আরও অনেক ক্রিকেটাররা আসেন ট্রফি দেখতে। ট্রফি দেখতে আসা অধিকাংশই ছিল চট্টগ্রামের বিভিন্ন একাডেমীর ছাত্র।
বিশ্ব দাবায় শাহাবুদ্দিন শামীম
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম বিশ্ব দাবা সংস্থার (ফিদে) এশিয়ান জোন ৩.২-এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। জর্জিয়ার বাতুমিতে এশিয়ান দাবা ফেডারেশনের এশিয়ান কন্টিনেন্টাল সাধারণ সভায় এশিয়ান বিভিন্ন জোনের তিনি আগামী ৪ বছরের জন্য জোন ৩.২ এর সভাপতি হয়েছেন। বাংলাদেশের কোন দাবা কর্মকর্তা এই প্রথম বিশ্ব দাবা সংস্থার জোন সভাপতি নির্বাচিত হলেন। চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং সিজেকেএসএর অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম বর্তমানে দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। চট্টগ্রামের এই ক্রীড়া সংগঠক এবার নিজেকে নিয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গণে। যা বাংলাদেশের কোন দাবা সংগঠকের বেলায়ও প্রথম অর্জন। তিনি সিজেকেএসএর কোষাধ্যক্ষও ছিলেন।
ব্রাজিল সমর্থনে মুগ্ধ রাষ্ট্রদূত
বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলছে না বাংলাদেশ। অথচ এ দেশে ব্রাজিলের সমর্থক রয়েছে প্রচুর। তাই বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন বাংলাদেশে ব্রাজিল ফুটবল দলের সমর্থন সচক্ষে দেখার জন্য চট্টগ্রাম আসেন ব্রাজিল রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভেরা জুনিয়র। সমর্থকদের গায়ে হলুদ জার্সি, দেয়ালে আঁকা, ঘরের ছাদে আর গাছে গাছে ব্রাজিলের বিশালাকৃতির পতাকা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। শাহ আমানত বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান চট্টগ্রামের ব্রাজিল রাষ্ট্রদূতের সফরের সমন্বয়ক, সাদার্ন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর সরওয়ার জাহান। বিমানবন্দর থেকে তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আগ্রাবাদ নওজোয়ান ক্লাবে। এরপর আগ্রাবাদ সরকারী কলোনি হাইস্কুল মাঠে এক প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাকে ক্লাবের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট ও ক্লাবের জার্সি উপহার দেয়া হয়।
গ্র্যান্ড মাস্টার দাবা
বুদ্ধির খেলা দাবা। এ বুদ্ধির লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল বিভিন্ন দেশের শীর্ষ দাবাড়–রা। আন্তর্জাতিক দাবার সর্বোচ্চ সংস্থা ফিদে অনুমোদিত দাবার সর্বোচ্চ খেতাব পাওয়া গ্রান্ড মাস্টার, ফিদে মাস্টার, আন্তর্জাতিক মাস্টাররা চট্টগ্রামে উপস্থিত হয়েছিল এ বুদ্ধির লড়াইয়ে। সিজেকেএস দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজনে ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকার বাজেটে দাবার সর্বোচ্চ এ টুর্নামেন্টে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ এসব দেশ থেকে ৮ জন গ্রান্ড মাস্টার, ৪ জন আন্তর্জাতিক মাস্টার, ১৩ জন ফিদে মাস্টার, ৫ জন কেনডিডেন্ট মাস্টারসহ মোট ৩০ জন অংশগ্রহণ করেছেন। সুইস লীগ পদ্ধতিতে এ টুর্নামেন্টে মোট প্রাইজমানি ছিল ৫ হাজার ডলার। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের দাবার বিস্ময় বালক ফিদে মাস্টার ফাহাদ রহমান।
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং ক্রীড়াপাগল সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সর্বাত্মক সহযোগিতায় সফল এ আয়োজনে বাংলাদেশের গ্রান্ড মাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ ও ভারতের গ্রান্ড মাস্টার দিবেন্দু বড়–য়া বলেছেন, এমন আয়োজন এবং চট্টগ্রামের আতিথেয়তা আমাদের মুগ্ধ করেছে। এ দুই গ্রান্ড মাস্টার বলেন, দাবার উন্নতি করতে হলে টুর্নামেন্ট খেলার কোন বিকল্প নেই। তাই আরও বেশি টুর্নামেন্ট আয়োজনের অনুরোধ জানান এ দুই গ্রান্ড মাস্টার।
আন্তর্জাতিক মানের পুল
অবশেষে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের শোভা বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়ামের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে এ সুইমিং পুল নির্মাণকে কেন্দ্র করে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে হয়েছে সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন। এমনকি আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে সুইমিং পুল বাস্তবায়নকারীদের জয় হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের মার্চে এবং তা শেষ হয় গত বছরের নভেম্বরে। প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে নির্মিত হওয়া এ সুইমিং কমপ্লেক্সে রয়েছে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য, ২২ মিটার প্রস্থ এবং ১.৮ মিটার গভীর ৮ লাইনের একটি সুপেয় পানির সুইমিং পুল। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুইমিং কমপ্লেক্সটিতে আছে সাঁতারুদের জন্য অত্যাধুনিক ড্রেসিং রুম, প্লেয়ার লাউঞ্জ, দেড় হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালারি, পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট, গভীর নলকূপ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোজনের জন্য আড়াইশ কেবি বিদ্যুৎ সাবস্টেশন এবং নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন