নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, রুহুল আমিনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থাকায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এসময় বৈঠকে ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ, সহ-সভাপতি ছানা উল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল বাসার প্রমুখ।
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিনগত রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে এক গৃহবধূ ধর্ষণ করা হয়। এর পর ঘটনাটি কাউকে না বলতে এবং মামলা না করতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
পরে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী নয় জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূলহোতা রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, ধানের শীষে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী গণধর্ষণের শিকার হন।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর নিন্দার ঝড় ওঠে।
ধর্ষকরা হল- একই গ্রামের মো. তোফায়েলের ছেলে আওয়ামী লীগকর্মী ও সন্ত্রাসী মোশাররফ হোসেন, ইসমাইলের ছেলে সোহেল, আবুল কাশেমের ছেলে বেছু, আবুল কালামের ছেলে সোহেল, আবদুল মন্নানের ছেলে স্বপন, ইউসুফের ছেলে আনোয়ার, নুরুল হকের ছেলে আমীর হোসেন, বাগন আলী ওরফে ইসমাইলের ছেলে মো. হানিফ, টোকাইর ছেলে সালাউদ্দিন, খোরশেদের ছেলে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রুহুল আমিন, আহমদ উল্লাহর ছেলে বাদশা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন