সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনার মামলা ৯নং আসামী সালা উদ্দিন (৩৫) ও ৭নং আসামী আবুল (৪০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার এজাহারভুক্ত ও ঘটনায় জড়িত থাকায় এযাবত ৯জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৭জনের ৫দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
শনিবার দিবাগত রাত থেকে রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মধ্যবাগ্যা গ্রামের টোকাইয়ের ছেলে সালাউদ্দিন ও একই গ্রামের সেরু মিয়ার ছেলে আবুল।
চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, রাত ২টার দিকে ফেনীর সদর উপজেলার সুলতানপুর এলাকার তার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সালা উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালী ডিবি পুলিশের একটি দল।
তিনি আরো জানান, রবিবার বিকেল ৫টার দিকে চরজুবলী ইউনিয়নের আটকপালিয়া বাজার এলাকায় আবুলের স্ত্রী স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আবুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এদিকে, রবিবার দুপুরে তাদের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে গ্রেপ্তারকৃত ৭আসামীকে হাজির করা হলে বিচারক নবনিতা গুহ শুনানি শেষে তাদের ৫দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামীরা হচ্ছেন, এজাহারভুক্ত আসামী বাদশা আলম, স্বপন, সোহেল, বেচু এবং ঘটনায় জড়িত থাকায় সাবেক ইউপি মেম্বার রুহুল আমিন, জসিম উদ্দিন প্রকাশ জইস্যা ও হাসান আলী বুলু।
উল্লেখ্য, গত ৩০ডিসেম্বর রবিবার ভোট কেন্দ্রে ধানেরশীষ মার্কায় ভোট দেয়ার জের ধরে দরজা ভেঙে ভিকটিমের ঘরে ভিতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বাহিনীর সদস্য সহেল, স্বপন, চৌধুরী, বেচু’সহ ১০জন সন্ত্রাসী। এসময় তারা ঘরে ভাঙচুর করে ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিনকে মারধর ও ৪সন্তানকে বেঁধে রেখে ভিকটিমকে উঠানে নিয়ে কাপড় ও ব্লাউজ দিয়ে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করে। পরে এই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন