স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশে ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন শেষে এবার নির্বাচনী উত্তাপ লেগেছে দাবা ফেডারেশনে। এই ফেডারেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৪ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। দাবার খসড়া ভোটার তালিকায় ১১৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। ৩১ মে অনুষ্ঠিত হবে দাবা ফেডারেশনের নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে দাবা ফেডারেশনে দু’টি গ্রæপের সৃষ্টি হয়েছে। লায়ন মো. মুজিবর রহমান, মুশফিকুর রহমান মোহন, মোকাদ্দেছ হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেনরা রয়েছেন এক গ্রæপে। অন্যদিকে আরেক গ্রæপে আছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক গাজী সাইফুল তারেক, কে এম শহিদউল্লাহ, ও সৈয়দ শাহবুদ্দিন শামীমরা।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে দু’গ্রæপই সক্রিয়। একে সামনে রেখে গতকাল লায়ন মো. মুজিবর রহমানের গ্রæপ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ষষ্ঠ তলায় এক রেস্টুরেন্ট অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে তারা দাবা ফেডারেশনের নানা অনিয়ম ও কাউন্সিলরশিপের ত্রুটি প্রসঙ্গে মিডিয়াকে অবহিত করেন। ফেডারেশনের সাবেক নির্বাহী সদস্য মুজিবর রহমান বলেন, ‘একটি নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি চার বছর কাটিয়ে দিল অথচ দাবার গঠণতন্ত্রে নানান সমস্যা থাকলেও তা যুগোপযুগী করার জন্য এক-দুটি এজিএম করা তাদের পক্ষে সম্ভব হলো না। আমরা ফেডারেশনের ক’জন কর্মকর্তা সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে সাধারণ সম্পাদককে এজিএম করার ব্যাপারে বারবার অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি এজিএম করার কোনও আগ্রই না দেখিয়ে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছেন।’ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদকে কাউন্সিলর করা হয়েছে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ হিসেবে। অথচ নিয়াজ এখনও খেলছেন। তার ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংবাদ সম্মেলনে। এসময় উপস্থিত ছিলেন তিন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান, এনামুল হোসেন রাজীব ও আব্দুল্লাহ আল রাকিব। এরা কোনও পক্ষ বা প্যানেলে সমর্থন না জানিয়ে বলেন, ‘কাদা ছোড়াছুড়ি না করে দাবার উন্নয়নের জন্য ভাবা উচিত।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন