শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

অস্ট্রেলিয়ার হাজারতম জয়

বৃথা গেল রোহিতের রেকর্ড সেঞ্চুরি

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

শুরুর ধাক্কা সামলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু ভারতীয় ওপেনারের শতক পরিসংখ্যান ছাড়া কোন কাজেই লাগল না। অস্ট্রেলিয়ার অচেনা বোলিং লাইন-অপের কাছে ৩৪ রানে হেরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে ভারত। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে প্রথম দল হিসেবে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হাজারতম জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন ঝেই রিচার্ডসন।
বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে পুরো বোলিং লাইন বিশ্রামে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারত বিশ্রাম দিয়েছে কেবল জাসপ্রিত বুমরাহকে। সেই তরুণ অজি পেস বোলিং কাপিয়ে দিয়েছে ভারতকে। ২৮৯ রান তাড়া করতে নেমে ৪ রানেই নেই ৩ উইকেট। ২৮ ওভারে রোহিত-ধোনির ১৩৭ রানের জুটিতে অবশ্য সেই ধাক্কা সামলে নিয়েছিল ভারত। কিন্তু রোহিতকে একা করে মাহেন্দ্র সিং ধোনির সাজঘরে ফেরা যতটা না প্রভাব ফেলে, পরবর্তিতে তার চেয়েও বড় প্রভাব ফেলে ধোনির ধীর ব্যাটিং। ১৩ মাস পর ফিফটির দেখা পান ধোনি। ৫১ রান করতে সাবেক অধিনায়ক খেলেন ৯৬ বল, স্ট্রাইক রেট ৫৩.১২! ধোনির নামের সঙ্গে যা একেবারেই বেমানান। এজন্য দিনেশ কার্তিক-রবিন্দ্র জাদেজাদের দায়ীত্ব ছিল রোহিতকে সঙ্গ ভালোভাবে দেওয়া। কিন্তু রিচার্ডসনের বোলিং তোপে তা হয়ে ওঠেনি। রোহিতের সঙ্গে তাদের জুটি চল্লিশ পেরুনোর আগেই থামিয়ে দেন রিচার্ডসন। এই রিচার্ডসনই দলীয় চতুর্থ ওভারে বিরাট কোহলি ও আম্বাতি রাইডুকে তুলে নিয়ে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন। সুইংয়ের পসরা সাজিয়ে দিন শেষে তার বোলিং ফিগার করেছেন ১০-২-২৬-৪। তবে দলীয়ও প্রথম ওভারে শেখর ধাওয়ানকে ক্যারিয়ারের প্রথম গোল্ডেন ডাক উপহার দিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দেন অভিষিক্ত জেসন বেহরেনডর্ফ। ধাওয়ানের মত ধোনিকেও যিনি লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে অভিষেকটা রাঙিয়ে রেখেছেন।
শেষদিকে বলের সঙ্গে রানের ব্যবধান বেড়ে যায়। পাল্লা দিয়ে রান তুলতে গিয়ে স্টয়নিসের বলে মিড উইকেটে ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দেন রোহিত। ততক্ষণে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২২তম সেঞ্চুরি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যা সপ্তম আর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পঞ্চম। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এত বেশি সেঞ্চুরি করতে পারেননি কেউ। ১১০ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছানো রোহিত আউট হন ১২৯ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ১৩৩ রান করে। ভারতের আশার প্রদীপ তখনই নিভে যায়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৪ রানে থেমে যায় কোহলির দলের ইনিংস।
এর আগে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ‘দশে মিলে’ ৫ উইকেটে ২৮৮ রান তোলে অ্যারোন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া। সেখানে ফিঞ্চ বাদে ব্যাট হাতে নেমে সবাই-ই কমবেশি অবদান রাখেন। তিনটি ফিফটি ইনিংস আসে উসমান খাজা (৮১ বলে ৫৯), শন মার্শ (৭০ বলে ৫৪) ও পিটার হ্যান্ডসকম্বের (৬১ বলে ৭৩) ব্যাট থেকে। মার্কাস স্টয়নিস অপরাজিত থাকেন ৪৩ বলে ৪৭ রান করে।
অস্ট্রেলিয়া : ৫০ ওভারে ২৮৮/৫ (কারি ২৪, ফিঞ্চ ৬, খাজা ৫৯, শন মার্শ ৫৪, হ্যান্ডসকম্ব ৭৩, স্টয়নিস ৪৭*, ম্যাক্সওয়েল ১১*; কুমার ২/৬৬, খলিল ৫৫/০, শামি ৪৬/০, কুলদ্বীপ ২/৫৪, জাদেজা ১/৪৮, রাইডু ০/১৩)। ভারত: ৫০ ওভারে ২৫৪/৯ (রোহিত ১৩৩, ধাওয়ান ০, কোহলি ৩, রাইডু ০, ধোনি ৫১, কার্তিক ১২, জাদেজা ৮, কুমার ২৯*, কুলদ্বীপ ৩, শামি ১; বেহরেনডর্ফ ২/৩৯, রিচার্ডসন ৪/২৬, সিডল ১/৪৮, লায়ন ০/৫০, স্টয়নিস ২/৬৬, ম্যাক্সওয়েল ০/১৮)। ফল : অস্ট্রেলিয়া ৩৪ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : ঝেই রিচার্ডসন। সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ১-০তে এগিয়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন