শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

চমকে জাগানো আলিসের অ্যাকশন সন্দেহজনক!

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ম্যাড়ম্যাড়ে বিপিএলে গত শুক্রবার ছুটির দিনে লেগেছে বৈচিত্র্যের রঙ। পোলার্ড, রুশোদের ব্যাটে ঝড় উঠেছে, টানটান উত্তেজনা ছড়িয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস-রংপুর রাইডার্সের জম্পেশ ম্যাচ। সে ম্যাচেই আনকোরা আলিস আল ইসলাম নেমে ঘটিয়ে ফেলেছেন লঙ্কাকান্ড। অভিষেকেই হ্যাটট্রিকসহ নিয়েছেন চার উইকেট। অথচ এই অফ স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নাকি ছিল সন্দেহের তালিকায়!

এই ম্যাচের আগে তাকে চিনতেন হাতেগোনা কয়েকজন। এমনকি স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যেও তিনি ছিলেন অচেনা। দ্বিতীয় বিভাগ লিগে দুই মৌসুম আর কেবল গত মৌসুম খেলেছেন প্রথম বিভাগে। প্রিমিয়ার লিগের হিসেবের মধ্যেই আসেননি, তবে এল লাফে যেখানে পৌঁছেছেন সেটা যেন তার জন্য দিবাস্বপ্নের মতোনই। ২৬ রানে হ্যাটট্রিক সহ চার উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়ে আসার পর তাকেই নিয়েই হইহই। সাধারণ এক নেট বোলার থেকে ম্যাচ সেরা তারকা বনে যাওয়া বিশাল ব্যাপারই বটে। তবে আলোর নিচে মিলছে কিছু অন্ধকারও। প্রথম বিভাগেই নাকি অবৈধ অ্যাকশনের সন্দেহজনক তালিকায় নাম উঠেছিল তার। ম্যাচ জিতিয়ে আসার পর সংবাদ সম্মেলনেই অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন গেল তার কাছে। সরাসরি সেই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন বটে তবে তার অ্যাকশন নিয়ে যে তেতো আলাপ ছিল তার কথা থেকে তাও বেরিয়ে এসেছে, ‘না আসলে কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। তবে সবাই আসলে ভাবছিলেন.......(চাকিং কিনা) । না, আসলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি।’
অমন বোলিং করে যাদেরকে ঘায়েল করলেন সেই রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজার কাছেও গিয়েছিল আলিসের অ্যাকশন নিয় প্রশ্ন, মাশরাফি তা এড়িয়েছেন স্বাভাবিক কৌশলে, ‘যারা টেকনিক্যাল ব্যাপারে আছে তারা বলতে পারবে ওর অ্যাকশন সম্পর্কে (বৈধ কিনা)। সে রিপোর্টেড আছে কি না। ওর বিষয়টা আমি বলতে পারবো না। টেকনিক্যাল দিকে যারা আছে তারা বলতে পারবে।’
আলিসের নামটা ড্রাফটে ছিল না। ঢাকা ডায়নামাইটসে যোগ হয়েছেন টুর্নামেন্ট শুরুর সপ্তাহখানেক আগে। সেটি নিয়েও আপত্তি নেই রংপুরের। আপত্তি হচ্ছে, প্রথম বিভাগ খেলার সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয় আলিসের বোলিং অ্যাকশন। রংপুর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ‘ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে তার বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক ছিল। আমাদের বলা হয়েছে সে অ্যাকশন শুধরেছে। কিন্তু আজকের ম্যাচ দেখে মনে হয়েছে তার অ্যাকশন এখনো ত্রুটিপূর্ণ। তার কনুই নির্ধারিত সীমা ১৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাচ্ছে বিশেষ করে সে যখন দুসরা মারছে।’
তবে অ্যাকশনে সমস্যা যদি থেকেও তাকে তবে হয়ত সে শুদ্ধ হয়েই মাঠে নেমেছে বলে মনে করেন বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ও বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস, ‘সে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল কিন্তু সেটি সংশোধন করেছে। কেউ যদি রিপোর্টেড হয়ে থাকে তবে তাকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়। সেও সংশোধনের কাজ করেছে।’
২০১৪ সালে দেশের ক্রিকেটের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন আলিস। কাঁঠালবাগান গ্রিন ক্রিসেন্ট ক্লাব দিয়েই শুরু হয় ২২ বছর বয়সী এই অফ স্পিনারের যাত্রা। ২০১৪ সাল থেকে এরপর দুই বছর খেলেছেন দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ। সাভারের বালিয়াপাড়ার ছেলে গতবছর ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে খেলেন প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে। সেখানে সর্বোচ্চ ২৭ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন