গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিধি বর্হির্ভূতভাবে এডিবি’র অর্থায়নে ১৭টি প্যাকেজ প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনত ট্রেন্ডর কমিটির কোন সদস্যকে ঠিকাদার নিয়োগ করার বিধান না থাকলেও উপজেলা চেয়ারম্যানের শ্যালককে কাজ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া অবৈধ উপায়ে কাজ পাওয়ায় অত্যন্ত নি¤œমানের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলা এডিবি’র অর্থায়নে আহŸানকৃত ১৭ প্যাকেজের দরপত্র আহবান করা হয়। এতে গত ২৪ মার্চ খোলা ওই দরপত্রে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করার বিধি থাকলেও অবৈধ ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম তার আপন শ্যালকের মালিকানাধীন ফরিদপুরের মেসার্স মোঃ রফিকুল ইসলাম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৬ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৯০ টাকা মূল্যের উপজেলা পরিষদের গেজেটেড কোয়াটার মেরামত এবং ৮ লক্ষ ৩০ হাজার ৭১০ টাকা মূল্যের উপজেলা পরিষদের নন গেজেটেড কোয়াটার মেরামতের দুটি কাজ প্রদান করেন। এছাড়া এ প্রকল্পের অন্যান্য কাজগুলোর লটারিতে অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এতে করে এ প্রকল্পের কাজগুলো অত্যন্ত নি¤œমানের করে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহ্বুবুর রাব্বনী বলেন, অনিয়মের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি। আশা করি বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
দরপত্র আহবান কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম নি¤œমানের কাজ করা হচ্ছে না বলে দাবি করে জানান, ওই দু’টি কাজের ঠিকাদার মেসার্স রফিকুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যানের আত্মীয় কিনা তা আমার জানা নেই। তবে দরপত্র কমিটির প্রত্যেক সদস্যই এই মর্মে হলফনামা প্রদান করেছেন যে কাজ পাওয়া কোন ঠিাকাদার কারো নিকট আত্মীয় নন।
গোয়ালন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম মেসার্স রফিকুল ইসলাম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী তার আত্মীয় স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যানের কোন আত্মীয় ঠিকাদারী কাজ করতে পারবে না এ রকম কোন বিধি সম্পের্কে আমার জানা নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন