এবারের বিপিএল আসরে একই দিনে দুবার দেখা গেল সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। গতকালের প্রথম ম্যাচে ১৯৪ রান করেও রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে জিততে পারেনি সিলেট সিক্সার্স। পরের ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের বোলারদের তুলোধোনা করে ৪ উইকেটে ২১৪ রান তোলে চট্টগ্রাম ভাইকিংস। বিপিএল ইতিহাসে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
বিশাল লক্ষ্যে শুরুটা যেমন হওয়ার দরকার ছিল তেমনটা হয়নি খুলনার। প্রথম বলেই আউট রাইম স্টার্লিং। সংগ্রটা ২০ পার না হতেই নেই আল-আমিন ও জুনায়েদ সিদ্দিকও। চতুর্থ উইকেটে ভালো কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন ব্রান্ডন টেইলর ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ১৬ রানের ব্যবধানে দুজনই সাজঘরে ফেরেন ৭ ম্যাচে দলকে ষষ্ঠ হারের মুখে রেখে। ৭ রানের ব্যবধানে আরিফুল হকও বিদায় নেন স্কোরবোর্ড ৬ উইকেটে ১০৯ করে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খুলনার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩২। জয়ের জন্য তখনও প্রয়োজন ৩০ বলে ৮৩ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের ইনিংস ব্যাট হাতে নেমে অবদান রেখেছেন প্রায় সকলেই। ক্যামেরন ডেলপোর্ট কেবল করেন ১৪ রান। এছাড়া মোহাম্মাম শেহজাদ ১৭ বলে তিনটি করে ছক্কা-চারে করেন ৩৩। মোহাম্মাদ আশরাপুলের বদলে দলে সুযোগ পাওয়া ইয়াসির আলি নিজেকে চিনিয়েছেন ৩৬ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৫৪ রান করে। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ইয়াসির তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৮৩ রানের জুটি। সেটাও মাত্র ৫০ বলে। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রান। পঞ্চম উইকেটের অবিচ্ছিন্ন ১৪ বলের জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। ১৭ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন শনাকা, ৫ বলে ১৬ করেন নাজিবুল্লাহ জর্দান। চট্টগ্রামও পেয়ে যায় ৫ ম্যাচে চতুর্থ জয়ের বিশাল রসদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন