মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোন ইউনিয়নের বিলাসেরপার এলাকার ৩য় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষনের পর শিশুটিকে ৫শ ১০টাকা হাতে দিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয় ধর্ষক। শিশুকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনার পর এখনও থানায় কোন মামলা হয়নি।
জানা যায়, ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিলাসের পার গ্রামের মোঃ সমছু মিয়া ও ওয়াহিদা আক্তারের ৯ বছরের শিশু সন্তান শিপার খেলার সাথী ফুপাতো ছোট ভাই নিয়ে যায় তাদের সাথে রাতে থাকার জন্য। শিপা ফুপাতো ভাই-বোনদের সাথে রাতে একটি খাটে ঘুমায়। মধ্য রাতে ধর্ষক ফুপা কুদরত মিয়া শিপাকে ঘুম থেকে তোলে ঘরের মেঝে ফেলে তাকে ধর্ষন করে। কুদরতের স্ত্রী ওই রাতে ঘরে ছিলনা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোন এলাকার সবুরা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ শ্রেনীর ছাত্রী শিপা। ১৪ জানুয়ারি মধ্য রাতে কুদরত মিয়া শিপাকে ধর্ষন করে ৫শ ১০ টাকা দিয়ে বলে এ বিষয়টি কাউকে বললে তাকে প্রানে হত্যা করবে। শিপা ভয়ে কাউকে ঘটনাটি বলেনি। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শিপা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মাকে ঘটনাটি খুলে বললে রাত সোয় ১১টায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে শারমিন আক্তার শিপা তৃতীয়। ঘটনার পর ধর্ষক মোঃ কুদরত মিয়া পালিয়ে যায়।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জানান শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসলে সংশ্লিষ্ট থানায় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পাঠানো হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর ধর্ষক কুদরত মিয়াকে গ্রেফতারে জন্য চেষ্ঠা চলছে। তবে ভিকটিমের পক্ষে কোন অভিযোগ আসেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন