ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় বাবা-মা ও বৃদ্ধ দাদীকে মারপিট করে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে (১১) দুই দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। আদালতের জবানবন্দিতে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রী। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অপহরণকারীর দুই ভাইসহ গ্রেফতার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। তবে অপহরণকারী কফিল উদ্দিনকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া গ্রামের ছামছুল হক প্রধানের ছেলে মন্টু প্রধানের বাড়ি থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত সোমবার বিকেলে বাজে ফুলছড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহরণের শিকার হয় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়–য়া ওই স্কুলছাত্রী। এদিকে গ্রেফতারকৃত ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের বাজে ফুলছড়ি গ্রামের শাহা আলীর ছেলে অপহরণকারী কফিল উদ্দিনের ভাই রাশেদ মিয়া (২২) ও মাসুদ মিয়া (২০) এবং উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া গ্রামের ছামছুল হক প্রধানের ছেলে মন্টু প্রধানকে (২৮) গতকাল বুধবার আদালতের মাধ্যমে গাইবান্ধা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন খবর পেয়ে অপহৃতাকে সিংড়িয়া গ্রামের মন্টু প্রধানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। তাকে উদ্ধারের পর গাইবান্ধা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অপহৃত স্কুলছাত্রী আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে স্কুলছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন শেষে তার বাবার হেফাজতে তুলে দেয়া হয়। তবে মুল অপহরণকারীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন