স্পোর্টস ডেস্ক : বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদদের কাছে হেরে। ফাইনালে সেই অ্যাটলেটিকোর প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। তাহলে তো লিওনেল মেসিদের উচিত ফাইনালে রিয়ালকেই সমর্থন করা। কিন্তু না, বার্সেলোনার কেহই চান না রিয়াল শিরোপা জিতুক। ফাইনালে তাই অ্যাটলেটিকোকেই সমর্থন করবে কাতালানরা। ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটিই জানিয়েছেন মেসিÑ ‘অ্যাটলেটিকোর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয় দেখাটা বার্সেলোনা ভক্তদের আনন্দ দেবে। বার্সেলোনা ভক্তরা রিয়ালের কোন শিরোপা জয় দেখতে চান না।’
শুধু বার্সা কেন, কোন কাতালান ভক্তই তো চাইবে না রিয়াল শিরোপা জিতুক। কে শিরোপা জিতবে সেটা জানা যাবে আগামী ২৮ মে। তার আগে প্রতিপক্ষ হিসেবে যে অ্যাটলেটিকো সহজ হবে না সেই বার্তাও হয়তো বার্নাব্যুতে পৌঁছে দিতে চাইলেন মেসিÑ ‘প্রতিপক্ষ হিসেবে অ্যাটলেটিকো খুবই অস্বস্তিকর ও কঠিন। দলটা খুবই প্রতিভাবানও এবং তাদেও আছে ডিয়েগো সিমিওনের মত মেধাবি কোচ। সিমিওনের জন্যেই এটা তাদের জেতা উচিত।’
চিরপ্রতিদ্ব›িদ্বদের ব্যর্থতা কামনা করতে গিয়ে নিজেদের দায়িত্বটা ভুলে যাননি বার্সা তারকা। লা লিগায় তার দল শিরোপা থেকে মাত্র এক জয় দূরে। এছাড়া কোপা দেল রে’র ফাইনালে উঠেছে তার দল। ট্রেবল জয়ের আশা শেষ হওয়ার পর এখন তাই ডাবল জয় নিয়েই ভাবনা ৫ বারের বিশ্ব সেরা খেলোয়াড়েরÑ ‘আমাদের সামনে এখন দুটো ফাইনাল, একটা লা লিগা এবং আরেকটা কাপ (কোপা দেল রে)। এটা ভালোই হবে যদি দুটি শিরোপা জিতে মৌসুম শেষ করতে পারি।’ তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ার হতাশা যে এখনো তাঁকে কাঁদায় তা বোঝা গেল এই কথাতেইÑ ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থাকতে পারলে ভালো হত। কিন্তু সেটা তো আর হল না। তাই আমরা এখন তিনটির (শিরোপা) মধ্যে দুটি জিততে চায়।’
আগামী ২২ মে কোপা দেল রের ফাইনালে বার্সার প্রতিপক্ষ সেভিয়া। এর আগে আসছে রবিবার লিগের শেষ ম্যাচে বার্সার প্রতিপক্ষ গ্রানাডা। নিজেদের গোলপোষ্ট অক্ষত রেখে শেষ ৪ ম্যাচে ২১ গোল করা দলটি পয়েন্ট তালিকার ১৪ নম্বর দলের বিপক্ষে জয়ের আশা করতেই পারে। একই দিনে রিয়াল ভ্রমন করবে দিপোর্তিভোয়। সেখানে লস বøাঙ্কোসরা জয়ের পাশাপাশি চাইবে বার্সা পয়েন্ট হারাক। তাহলেই শিরোপা উঠবে রিয়ালের হাতে।
একই সাক্ষাতকারে অলিম্পিকে খেলতে না পারার হতাশার কথাও জানান আর্জেন্টাইন অধিনায়কÑ ‘আমি অলিম্পিকে যেতে চাইতাম। কারণ অলিম্পিকে খেলাটা চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা।’ এর অগে ২০০৮ সালে অলিম্পিকে খেলে দলকে সোনা জিতিয়েছেন। তবে দলের সাথে সেখানে বিশ্ব ক্রীড়া ব্যক্তিদের সাথে একসাথে থাকাটাও বিরাট এক অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন তিনিÑ ‘অলিম্পিক ভিলেজে থাকা, অন্য ক্রিড়াজগতের উপরের সারির সব অ্যাথলেটদের সঙ্গ পাওয়া এবং তাদের মধ্যে শুধুই আরেকজন অ্যাথলেট হওয়াটা দারুন অভিজ্ঞতা।’ অলিম্পিককে তুলনা করতে গিয়ে ‘নাম্বার টেন’ বলেনÑ ‘বিশ্বকাপ দারুণ কিন্তু অলিম্পিক বিশেষ কিছু।’
ইচ্ছা ছিল কোপা আমেরিকা ও অলিম্পিক দুই আসরেই খেলবেন, কিন্তু কোচ মার্টিনো শুধু কোপার জন্য বেছে নেন মেসিকে। জাতীয় দলের ঠাসা ম্যাচ সুচীর কারণে মার্টিনোর এই সিদ্ধান্ত। এছাড়া রয়েছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন