আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : আশাশুনিতে পল্লী বিদ্যুতের অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ের অবসান হয়নি বরং জাতীয় গ্রীডের উন্নতি হলেও আশাশুনির অবস্থা তথৈবচই রয়ে গেছে। ফলে গ্রাহক ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। আশাশুনি উপজেলার সকল এলাকায় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিদ্যুতের দিবারাত্র অস্বাভাবিক লোডসেডিংয়ের কবলে পড়ে গরমে চরম বিপত্তিতে রয়েছে। ভোর রাতে, কখনো সকাল থেকেই বিদ্যুতের পলায়ন শুরু হয়। অফিস সময়ে, স্কুল-কলেজের ক্লাশের সময় এবং ব্যবসায় বিদ্যুতের কাজের উপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোতে অরাজকতা শুরু হয়েগেছে। অফিস চালনা, ক্লাশ করান, বিদ্যুৎ নির্ভর কাজ করান সম্পূর্ণ ভাবে বন্দ হয়ে গেছে। ডিজিটাল যুগে সবকিছু যখন ডিজিটালাইজড হতে চলেছে, তখন বিদ্যুতের দুস্প্রাপ্যতা কাজকে বাক্সবন্দি করে দিচ্ছে। দিনের বেলায় তীব্র যন্ত্রনার পর সবাই যখন ঘরে ফেরে, সেই সন্ধ্যা নামলেই বিদ্যুতের ভিন্নতর জালাতন মাানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। রাতের ঘুম মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করতে না পেরে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি রয়েছে। আশাশুনিতে বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম এমন অজুহাতের কথা শুনিয়ে থামিয়ে রাখার প্রয়াস গ্রাহকরা মানতে চাইছে না। এরপরও রয়েছে, বিদ্যুতের এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং নিয়ে প্রশ্ন। সকল এলাকায় সমান হারে লোডশেডিং ব্যবস্থা থাকলে সবাই সমান সুযোগ প্রাপ্ত হয়। কিন্তু কোন এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা, আবার প্রতি ঘন্টায় এবং কোন এলাকায় অপেক্ষাকৃত কম লোডশেডিং এর আওতায় রাখায় গ্রাহকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আশাশুনিতে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের বুধহাটা অভিযোগ কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের আশাশুনি অভিযোগ কেন্দ্রে মোবাইলে কথা বললে ইনচার্জ জানান, বর্তমানে আশাশুনির বিদ্যুতের চাহিদা ৬ মে.ও. সেখানে সরবরাহ সাড়ে তিন থেকে ৪ মে.ও.।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন