শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পোশাক কারখানায় হেল্পলাইন ১৬৩৫৭

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:১০ এএম

দেশের তৈরি পোশাক কারখানার শ্রম পরিস্থিতি, ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন এবং যেকোনও পরিস্থিতি জানানোর জন্য ১৬৩৫৭ হেল্প লাইন চালু করেছে সরকার। 

গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তৈরি পোশাক শিল্প খাতে সমন্বিত শ্রম ব্যবস্থপনা’ বিষয়ক আলোচনা সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এই হেল্প লাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই হেল্পলাইন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর তত্তাবধান করবে। সম্পূর্ণ বিনা খরচে শ্রমিকরা যে কোনও সময়ে তাদের কর্ম বিষয়ক যেকোনও ধরনের অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন। এটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। এই হেল্পলাইন নম্বরটি প্রতিটি কারখানায় বড় বড় অক্ষরে দর্শনীয় স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বাংলাদেশ এমপ্লায়ারস ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, বিজিএমইএ এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমই এর ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারখানায় মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে শ্রম পরিস্থিতি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ রাখার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আমরা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সদস্য করে ২৯টি পরিবীক্ষণ কমিটি গঠন করেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কমিটির সদস্যরা ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের বিষয় মনিটরিং করবেন। কোনও কারখানায় শ্রমিক ছাটাই বা চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটলে আইনানুগ নিষ্পত্তি করবে, কোনও বিশৃংখলা দেখা দিলে কারখানায় যাবেন এবং মালিক-শ্রমিক নেতাদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। এই কমিটির সদস্যরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিটি কারখানায় ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করবেন, সামগ্রিক শ্রম পরিস্থিতি সম্পর্কে কমিটি মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠাবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে আর কোনও অস্থিরতা সৃষ্টি হোক, আমরা তা চাই না। মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে শ্রম পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে দেশের শ্রমঘন এলাকা ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় এই ২৯টি কমিটি গঠন করা হয়েছে ।
গার্মেন্টস শিল্পের জন্য ঘোষিত মজুরি কাঠামোর কয়েকটি গ্রেডে আশানুরুপ বেতন বৃদ্ধি না পাওয়ায় শ্রমিকদের মাঝে কিছুটা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, মালিকদের স্বদিচ্ছা, শ্রমিক নেতাদের আন্তরিকতা সর্বোপরি আপনাদের সবার সহযোগিতায় মজুরি সমন্বয়ের মাধ্যমে খুব দ্রুততার সঙ্গে তা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। সব শ্রমিক ভাই-বোনেরা কাজে যোগ দিয়েছেন, শ্রম পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন