অর্থনেতিক রিপোর্টার ঃ আগামী বাজেটে কর অবকাশ সুবিধা চান সিরামিক শিল্প মালিকরা। এছাড়া সিরামিক পণ্য রফতানিতে নগদ সহায়তা এবং এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে টাইলস, টেবিল ওয়্যার ও স্যানিটারি ওয়্যার শিল্প মালিকদের সংগঠন সিরামিক ওয়্যারস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় এসব দাবি জানান।
জাতীয় রাজস্ব বোডের্র (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এমপি ও সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সিরামিকস পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হওয়ায় আমি গর্বিত। এ সরকারের আমলে দেশের সিরামিকস সেক্টরে রিয়েল ডেভেলপমেন্ট হয়েছে। আমরা দেশীয় শিল্পকে অবশ্যই সহযোগিতা দেবো। তবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের বিষয়টিও দেখতে হবে। সরকার অর্থ না পেলে দেশের উন্নয়ন করবে কি দিয়ে।
তিনি বলেন, দেশীয় শিল্প বিকাশে সরকার সব সময় ব্যবসায়ীদের পাশে আছে। আজ আপনারা পানির দামে গ্যাস সুবিধা পাচ্ছেন। বিশ্বের কোথাও এমনটি নেই। আপনারা দেশকে দেবেন দেশও আপনাদের দেবে। তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনারা আর কোন সুরক্ষা পাবেন না। কারণ, আজীবন সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। বাজেটে এমন কিছু করা হবে না যাতে আপনাদের বর্তমান প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ এ সিরামিক টাইলসের ওপর আমদানি ও দেশের পণ্যে সমান হারে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে উৎপাদিত পণ্যে ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ এবং আমদানি পণ্যে ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আমদানিকারকরা ৯ শতাংশ শুল্ক হ্রাসের সুবিধা পাবেন।
অন্যদিকে আমদানি পণ্যের চেয়ে দেশীয় পণ্যের মূল্য ৩৬ শতাংশ বাড়বে। তাই আমদানি পর্যায়ে সিরামিক পণ্যের ওপর বিদ্যমান ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখার প্রস্তাব করেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা নেতারা। সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রাংশের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক হ্রাস এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সমুদয় সম্পূরক শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি মওকুফ করারও দাবি জানান তারা।
বৈঠকে সিরামিক শিল্প মালিকরা অভিযোগ করেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী আন্ডার ইনভয়েস-এর মাধ্যমে বিদেশি সিরামিক পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। এতে দেশের অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
ফুলবাড়ীতে মৎস্যজীবিদের পরিচয়পত্র বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতা বিতরণ
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ হয়েছে বলে বয়স্ক বিধবা ও প্রতিবন্ধিরা আজ ভাতা পাচ্ছে।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা প্রসাশনের উদ্যেগে মৎস্যজীবিদের পরিচয়পত্র, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
মৎস্যজীবিদের পরিচয়পত্র, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি ছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৎস্যজীবিদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র বিতরণ প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমান তরফদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হায়দার আলী শাহ, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল। অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৎস্যজীবী নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র বিতরণ প্রকল্পের উপ-পরিচালক বিএম মোস্তফা কামাল, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস হাছান, সমাজসেবা উপ-পরিচালক ইস্টেফেন মুরমু, সহকারী পুলিশ সুপার (ফুলবাড়ী সার্কেল) ফয়জুর রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেবেকা আইরিন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা ভুইয়া। আলোচনা সভা শেষে, উপজেলার ৩৬৪ জনকে বয়স্ক ভাতা, ১৯৪ জনকে বিধবা ভাতা, ২৪৩ জনকে প্রতিবন্ধি ভাতা ও ৭৬৮ জনকে মৎস্যজীবী পরিচয় পত্র প্রদান করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন