মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আজও পারলেন না গেইল

বিপিএলের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান এবার পেয়েছেন মাত্র এক ফিফটি!

ইমরান মাহমুদ, মিরপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:২২ পিএম | আপডেট : ৯:৩২ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

শুরুতেই ঝড় তুললেন নাদিফ চৌধুরী, যুৎসই সঙ্গ দিতে না পারলেও ছুটলেন ক্রিস গেইলও, তবে রুবেল হোসেনের জোড়া আঘাতে চূর্ণ টপ অর্ডার। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেন মোহাম্মদ মিঠুন আর রবি বোপারা। তাতেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়া হলো না রংপুর রাইডার্সের। আজ বুধবারের অলিখিত সেমিফাইনালে রূপ নেয়া ২য় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও ঢাকা ডায়নামাইটসের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা, ২ বল আগেই ১৪২ রানে থেমেছে রংপুর।

তবে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরুটা দারুণ হয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের। যথারীতি প্রথম দুই ওভার দেখে খেলেন গেইল। তৃতীয় ওভার থেকে ঝড়ের শুরু। প্রথম পাওয়ার প্লের ৪ ওভারেই গেইল-নাদিফ ঝড়ে ৪২ রান তোলে রংপুর। আন্দ্রে রাসেলকে ওড়ান দুটি ছক্কায়। হ্যাটট্রিক ছক্কার পরই আসে হ্যাটট্রিক উইকেট। ওই ওভারের শেষ বলে আরেকটি ছক্কার চেষ্টায় আউট হন নাদিফ। ১২ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় ২৭ রান করা নাদিফকে ফিরিয়ে রানের গতিতে লাগাম টানেন শুভাগত হোম। সেই লাগাম আর আলগা হতে দেননি ঢাকার বোলাররা।

পরের ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি বাজে শটে রুবেল পান দুটি উইকেট। অনেক বাইরের বলে শেষ মূহুর্তে ব্যাট চালিয়ে আউট হন গেইল। ১৩ বলে দুই ছক্কায় ১৫ রান করে খোঁচা মেরে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের হাতে। বিপিএলের এককভাবে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরির মালিক ১২ ম্যাচ খেলে এবার করেছেন মাত্র ২০৩। গতবারও এই রংপুরকে শিরোপা জেতানো ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানবের সেঞ্চুরিতো নেই-ই, ১৮.৪৫ গড়ে ফিফটি পেয়েছেন মাত্র একটি! আর টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রাইলি রুশো খেলেন বিস্ময়কর শট। আউট হন প্রথম বলেই শর্ট ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গিয়ে হন পোলার্ডের তালুবন্দী। রুবেল নেন ডাবল উইকেট মেডেন।

ধংসস্তুপে পরিণত হওয়া রংপুরকে টেনে তোলার চেষ্টায় মিঠুনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান বোপারা। এক-দুই করে দলকে টেনে নেওয়ার পাশাপাশি সুযোগ পেলেই বল পাঠিয়েছেন বাউন্ডারিতে। সাকিবের বলে টানা ছক্কা আসে মিঠুনের ব্যাটে। মিঠুনও পরে আউট হন আলগা শটে। বাঁহাতি পেসার কাজি অনিককে উইকেট দিয়ে আসেন অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে। ২৭ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৮ রানে মিঠুনের বিদায়ে ভাঙে ৬৪ রানের জুটি।

এরপর এক প্রান্তে উইকেট পড়েছে নিয়মিত, আরেক পাশ আগলে রেখেছেন বোপারা। শেষ ওভারে রুবেলের প্রথম তিন বলে একটি ছক্কা, দুটি চারে রান বাড়ান বোপারা। তবে টেল এন্ডারদের কেউই তাকে দিতে পারেনি সঙ্গ। শেষ ওভারে রান বাড়ানোর তাগিদ থেকেই বড় শট খেলতে গিয়ে পোলার্ডের দক্ষ হাতে ধরা পড়েন ফাইন লেগে। ফিফটির খুব কাছে গিয়ে ৪৯ রানে মুখ থুবড়ে পড়ে ৪৩ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কার লড়িয়ে ইনিংসটি।

প্রথম স্পেলে দুটির পর দ্বিতীয় স্পেলেও রুবেল নিয়েছেন দুই উইকেট। ৩.৪ ওভার বল করে একটি মেডেনসহ ৪ উইকেট নিতে ২৩ রান দিয়েছেন জাতীয় দলের এই পেসার। দুটি করে শিকার কাজী অনিক আর আন্দ্রে রাসেলের। একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান আর শুভাগত। তবে উইকেট না পেলেও দারুণ বল করেছেন সুনিল নারাইনও। ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১৮!

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন