হাজার হোক শিরোপার লড়াই। এই লড়াইয়ে আবার কে বন্ধু! খেলাধুলার পেশাদার জগতে এ এক নির্মম সত্য। এক যুগ পেরিয়ে যাওয়া ক্যারিয়ারে সেই সত্যি ভালোই বোঝেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। দুজনের বন্ধুত্ব তাদের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের মতোই শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে এখন তারুণ্যে। বিকেএসপিতে অনূর্ধ্ব-১৫ দলের ক্যাম্পে তামিমের সঙ্গে প্রথম দেখা সাকিবের। অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৮ দলেও খেলেছেন একসঙ্গে। জাতীয় দলে আসার পর গাঢ় হয় দুজনের বন্ধুত্ব। কিন্তু আজ কি সেসব দিনের কথা মনে থাকবে সাকিব-তামিমের?
বিপিএল ফাইনালে এবারই প্রথমবারের মতো মুখোমুখি ঢাকা ডায়নামাইটস-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচটি শুধু দুই দলের জন্যই ফাইনালে প্রথম মুখোমুখি হওয়া নয়, সাকিব-তামিমের জন্যও ‘প্রথম’। বিপিএলের ফাইনালে সাকিব-তামিম যে এর আগে কখনোই মুখোমুখি হননি। কী বিপত্তি! মুখোমুখি হওয়া বিচারে দুজনের প্রথম ফাইনাল, ওদিকে দুজনে আবার অন্তরঙ্গ বন্ধু। সন্দেহ নেই, বন্ধুর চাইতে দলের মান রাখায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে দুজনেই।
বিপিএল ফাইনাল অন্তত সাকিবের কাছে নতুন কিছু নয়। ২০১৩ সালে ঢাকার খেলোয়াড় এবং ২০১৬ সালে দলটির অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জিতেছেন সাকিব। এবারও সেই ঢাকার নেতৃত্বে সাকিব, তাহলে এবারও কি তার হাতেই শিরোপা উঠবে? প্রশ্নটি তামিমকে জিজ্ঞেস করলে জবাব কী আসতে পারে তা সবারই জানা- না। যেহেতু তামিম আজ ফাইনালে সাকিবের প্রতিপক্ষ। তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানটি অভিজ্ঞতা বিচারে তার বন্ধুর চেয়ে পিছিয়ে থাকবেন। এটাই যে তামিমের প্রথম বিপিএল ফাইনাল!
কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস এর আগেও বিপিএলের ফাইনালে খেলেছেন। ইমরুল কাগজে-কলমে অধিনায়ক হলেও মাঠে অনেক সময়ই তাকে তামিমের সহযোগিতা নিতে দেখা যায়। আজও নিশ্চয়ই নেবেন। তামিমকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশের সেরা এবং বর্তমান ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে থামানোর ছক কষতে হবে ইমরুলকে। কুমিল্লা যদি ফাইনালে জিততে চায় তাহলে রান পেতে হবে তামিমকে। এবার বিপিএলে মাত্র দুটি ফিফটির মুখ দেখেছেন তামিম। তবে সাকিব এগিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে।
ব্যাট হাতে ১৪ ম্যাচে ২৯৮ রান করেছেন সাকিব। আর বল হাতে ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন ২২ উইকেট। আজ অন্তত একটি উইকেট পেলেই তাসকিন আহমেদকে টপকে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হবেন সাকিব। সেটি যদি হয় তামিমের উইকেট?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন