বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল ছিল না। চট্টগ্রামে ক্রীড়ামোদীদের দাবী ছিল একটি আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল নির্মাণ করা। তারই প্রেক্ষিতে সিজেকেএস’র তত্তাবধানে নির্মিত হয়েছে আউটার স্টেডিয়ামে নির্মিত হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সুইমিং কমপ্লেক্স। এখানে সাঁতার প্রতিযোগিতার পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীরা সাঁতার শিখতে পারবে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। কমপ্লেক্সের রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে এপ্রিলের যেকোন সময়ে এ সুইমিংপুলের উদ্বোধন করা হবে। ইতোমধ্যে সুইমিংপুলের চারিদিকে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য নানা রকমের ফুলের গাছ রোপণ করা হয়েছে। এর আগে আগামী ৭ মার্চ আউটার স্টেডিয়ামে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সার্বিক অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠান ফিউশন ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং লি. এ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছে। সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ পরিদর্শনকালে মেয়র আউটার স্টেডিয়ামের নকশা অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শের পাশাপাশি কাজের অগ্রগতি আরো বাড়ানোর জন্য দায়িত্বরত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটিকে প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেন। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন কাজীর দেউড়ী আউটার স্টেডিয়ামের চারপাশের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন। এ এলাকাটি বিগত সময়ে অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের দখলে ছিল। ময়লা আবর্জনা স্তুপ করে থাকতো এখানে। আ জ ম নাছির উদ্দীন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এ জায়গাটি সৌন্দর্য বর্ধিতকরণের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করার পাশাপাশি পুরো স্টেডিয়ামকে নান্দনিক রূপে সাজানো হচ্ছে। চারিদিকে ফুলের বাগানও করা হবে। এছাড়া আউটার স্টেডিয়ামের মাঠে সবুজ ঘাস লাগানো হবে। পথচারীদের হাঁটা-চলা নির্বিঘ্ন করতে তৈরি হচ্ছে নান্দনিক ফুটপাত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন