গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন নিয়ে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ৪০ আহত হয়েছেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ। পুরো উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। থেমে থেমে চলে হামলা। রনক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা আদিতমারী এলাকা। গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পরে জনপদের মানুষ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাপ্টিবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল আলম। চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয় চান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ সামছুল ইসলাম সুরুজের ছেলে মো. ফারুক ইমরুল কায়েস। যিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষের প্রার্থীর কাছে নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ছিলেন।
এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হকও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু ত্যাগী দুই নেতাকে বঞ্চিত করে নতুন প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলমকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় অন্তঃদ্বদ্ব প্রকাশ্য লাভ করে।
রফিকুল আলমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে তার অনুসারীরা মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে গংগাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর দিকে যাচ্ছিল। মোটর সাইকেল শোভাযাত্রাটি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কাছে পৌঁছলে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের পথ রোধ করলে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এতে উভয় পক্ষের ৪০ জন আহত হয়। ভাঙচুর হয় ১০/১২টি মোটর সাইকেল। আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, আতঙ্কের কিছু নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন