শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

আড়াইহাজারে বালুমহল নিয়ে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা

আড়াইহাজারের দুর্গম চর এলাকা মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের মধ্যে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের কদমীর চর ঈদগাহ এলাকায় সাত্তার বাহিনী ও জয়নাল বাহিনীর মধ্যে এই গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। বন্দুক যুদ্ধের সময় গুলির শব্দে গোটা এলাকায় আতংকিত হয়ে পড়ে। বন্দুক যুদ্ধে খলিল, রুবেল, জলিল, ডালিম, ইয়াছিন, ইউসুফ, হালিম, আক্তার, মনির, আলম, দাউদ ও জয়নালসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১২/১৩ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধদের কুমিল্লা ও সোনারগাঁও, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বালু মহল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সাত্তার বাহিনী ও জয়নাল বাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আসছিল। গোলাগুলি হয়েছেও কয়েকবার। ঘটনার দিন সাত্তার বাহিনী মেঘনায় কদমীর চর এলাকায় বালু উত্তোলন করছিল। বালু উত্তেলন করতে গিয়ে তারা ওই গ্রামের ঈদগাহ এলাকায় এসে পড়ে। এ সময় জয়নাল বাহিনীও সোমবার সাত্তারের ড্রেজারের নিকটে বালু উত্তোলন শুরু করে। দুইটি ড্রেজার কাছা-কাছি হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে শুরু হয় গুলি-পাল্টা গুলি। মেঘনা নদীতে ২ পক্ষেই স্পীড বোট নিয়ে বন্দুক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বন্দুক যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে গোটা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে জয়নালের একটি ড্রেজার পুড়িয়ে দেয়া হয়। সংঘর্ষ থেমে গেলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এত বড় ঘটনা ঘটলে ও পুলিশ পৌঁছে দেড়িতে। এই নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আড়াইহাজার থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি আরো জানান, ১৫/২০ জন আহত হয়েছে। তবে কয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে তা জানাতে পারেনি। এই ব্যাপারে কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন