পুরস্কারের অর্থটা ১.২ মিলিয়নের কাছাকাছি। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। কিন্তু এই লটারি বিজয়ী টাকা নিতে এলেন মুখে একটি মুখোশ পরে। এই ধরনের মুখোশ ‘ইমোজি মাস্ক’ বলেই পরিচিত। এমন মুখোশ পরবার কারণ, তিনি আত্মীয়-পরিজনকে লটারি পাওয়ার খবরটা জানাতে চান না।
শুধু মুখোশই নয়, নিজের পরিচয় গোপন রাখতে লটারির পুরস্কার নেওয়ার সময় নিজের আসল নাম লুকিয়ে ছদ্মনাম এ. ক্যাম্পবেল ব্যবহার করেন জামাইকার ওই ব্যক্তি। নিজের আত্মীয়-স্বজনদের উপর বিন্দুমাত্রও ভরসা ছিল না তার। বরং আশঙ্কা ছিল যে, এর ভাগ চেয়ে বসতে পারেন তারা। গত বছরের নভেম্বরে তিনি এই লটারি জিতেছিলেন।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই লটারি জেতার পরের থেকেই তার শরীর খারাপ লাগছিল। এত টাকা পেয়ে তিনি কী করবেন তা ভাবতে ভাবতে তার নাকি পেটের গন্ডগোলও শুরু হয়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, লটারির এই টাকা দিয়ে তিনি একটি সুন্দর বাড়ি কিনবেন। তার ছোট ব্যবসাটিকেও আরও বড় করে তুলতে চান তিনি।
এর আগে গত জুনে আরও এক সুপার লোটো লটারি বিজয়ী এরকমই একটি ‘ইমোজি মাস্ক’ পরে লটারির টাকা নিতে এসেছিলেন। তিনিও নিজের পরিচয় গোপন করতেই এই মুখোশ পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। সূত্র: সিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন