শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

কোহলি-ভিলিয়ার্সে রেকর্ডময় ম্যাচ

প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : বিরাট কোহলি আর এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং তাÐবে গতকাল রেকর্ডময় এক ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে আইপিএল। তাদের হাত ধরে প্রথম বারের মত আইপিএল দেখল এক ইনিংসে দুই সেঞ্চুরি। টি-২০র ইতিহাসে যা দ্বিতীয় কোন ঘটনা। সেই সুবাদে আইপিএলের ইতিহাসেই সবচেয়ে বড় জয়ও তুলে নিয়েছে তাদের দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা গুজরাট লায়ন্সকে তারা হারিয়েছে ১৪৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪০ রানের জয়ের আগের রেকর্ডটি ছিল কোলকাতার। আইপিএলের প্রথম আসরের উদ্বোধনী দিনে বেঙ্গালুরুকেই বিশাল এই ব্যবধানে হারিয়েছিল শাহরুখ খানের দল।
রেকর্ডময় ম্যাচের শুরুর গল্পটা ছিল হতাশার। টানা ৮ ম্যাচ দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন ক্রিস গেইল। ৩.৫ ওভারে তখন বেঙ্গালুরুর রান ১৯। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে কোহলির সাথে আইপিএল রেকর্ড যে কোন উইকেটে ২২৯ রানের জুটি গড়েন ডি ভিলিয়ার্স। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ১২ ছক্কা ও ১০ চারে ১২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন প্রটিয়া এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। এক বল বাকি থাকতে কোহলি যখন আউট হলেন ৫৫ বলে ৮ ছয় ও ৫ চারে ১০৯ রান তার নামের পাশে। এবারের আইপিএলে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের (২১৫ রান) জুটিও এই দুই জনের দখলে। এছাড়া চলতি আসরের সর্বোচ্চ দুই রান সংগ্রাহক তো বটেই, সবচেয়ে বড় তিন জুটিও এই দুইজনের। ১১ ম্যাচে ৩ শতক ও ৪ অর্ধ-শতকে ৭৫.২২ গড়ে ৬৭৭ রান কোহলির। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩৮ রান ডি ভিলিয়ার্সের। আর ৫৭ রান করলেই এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা দখলে নেবেন কোহলি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উএকট হারিয়ে ২৪৮ রান করে বেঙ্গালুরু। আইপিএল ইতিহাসে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সর্বোচ্চ ২৬৩ রানের রেকর্ডটাও কোহলির দলের। ২০১৩ সালের সেই ম্যাচে ৬৬ বলে ১৭৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন গেইল।
শেষ ৫ ওভারেই আসে ১১২ রান! ষোলতম ওভারে গুজরাট লায়ন্সের প্রভিন কুমার যখন বল করতে আসেন ৩৭ বলে এবি ডি ভিলিয়ার্সের রান তখন ৭৭। প্রথম বল ডট যাওয়ার পরও ওই ওভারেই ২৩ রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন প্রটিয়া মারকুটে ব্যাটসম্যান। বিরাট কোহলি তখন ৪০ বলে ৫১। এরপর বেঙ্গালুরু অধিনায়কের ব্যাট যেন হয়ে উঠল উন্মুক্ত ক্ষ্যাপাটে তলোয়াড়। সেখান থেকে তিন অঙ্কে পৌঁছালেন মোট ৫৩ বলে। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতে ১০৪ রানেই অল-আউট হয় ব্যান্ডন ম্যাককালামের দল। আরসিবি’র বোলিং তালিকায় ছিলেন ৯ জন। ১১ রানে ৪ উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন