স্পোর্টস ডেস্ক : ইতিহাস অবশ্য লিভারপুলের পক্ষেই ছিল। ক্যাপিটাল ওয়ান কাপ খ্যাত লিগ কাপের সেমিফাইনালে ঘরের মাঠে কখনো হারেনি তারা। পরশুও জিতেছে, তবে শ্বাসরুদ্ধকর জয় যাকে বলে। স্টোর সিটির বিপক্ষে ম্যাচটি এতই উত্তপ্ত ছিল শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও ৬-৫ গোলের রোমাঞ্চ। রেড গুরু ইর্য়ুর্গেন ক্লপ ডাগআউটে এতই উত্তেজিত ছিলেন যে ‘পেনাল্টি শুট আউট দেখা হয়নি’ তার। এমন ম্যাচে জয়ের নায়ক সাধারনত গোলরক্ষকরাই হন। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিপক্ষের দু’টি শট রুখে দিয়ে আনফিল্ডের নায়ক বনে যান সিমোন মিনোলে।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে স্টোকের অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার মার্কো আর্নোতোভিচের গোলে পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। নির্ধারিত সময় শেষে এই ফল বজায় থাকে। প্রথম লেগে স্টোকের মাঠ থেকে ০-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল রেডরা। দুইয়ে মিলে ১-১ গোলে সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও কোন গোল না হওয়ায় ম্যাচ চলে যায় পেনাল্টি শুট আউট নামক ভাগ্য পরীক্ষায়। সেখানেও ‘যুদ্ধ’ চলে সমান তালে। প্রথম শটে দু’দলই জাল খুঁজে পায়। পরের শটে পিটার ক্রাউচের শট রুখে দেন লিভারপুল গোলরক্ষক মিনোলে। রেডদের হয়ে পোস্টে আঘাত করেন ইমার সেন। এরপর সমান্তরালে এগুতে থাকে ভাগ্য। মার্ক মুনয়াসার শট রুখে দিয়ে লিভারপুলের জয়ের সুযোগ তৈরী করে দেন মিনোলে। সেখান থেকে স্কোর বোর্ড ৬-৫ করতে ভুল করেননি ওয়েলস মিডফিল্ডার জো অ্যালেন।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ওয়েম্বলির ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি নাকি এভারটন সেটা গেল রাতেই নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। প্রতিপক্ষ হিসাবে যাকেই পান না কেন জয়ের সুরই দিয়ে রাখলেন লিভারপুল কোচ ক্লপÑ ‘ফুটবলের জন্য ওয়েম্বলি বেশ জায়গা... কিন্তু আমরা সেখানে জয়ের জন্যই যাব। হারটা নিশ্চই মজার নয়।’ ইংল্যান্ডে প্রথম আগমনেই চেলসিকে হোসে মরিনহো ও ম্যানসিটিকে ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনি এই শিরোপার স্বাদ দিয়েছিলেন। এবার একই সুযোগ রয়েছে ক্লপের সামনে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন