আনোয়ার হোসেন ফারুক
শেষ কক্ষপথের যাত্রী
আমি হাঁটছি অবিরত এক অজানা কক্ষপথে,
যেখানে পথ-ঘাট লোকজন কিছুই জানা নেই,
নেই কারো সাথে পরিচয়।
ক্ষণিকের প্রয়োজনে একে অপরের সাথে কথা হয়,
হয় ভাবের লেনাদেনা,লেনাদেনা কোনটা গভীর হয়
আবার কোনটা এতই অগভীর যে পানির বুঁদবুঁদের মতো ক্ষণিকে মিলিয়ে যায়।
গভীর সম্পর্কগুলোও এখানে বেশ আপেক্ষিক।
একদিন দুদিন তিনদিন দৃষ্টি সীমার বাইরে গেলে এটাও মিলিয়ে যেতে থাকে শূন্যতায়।
তবুও হেঁটে চলছি কক্ষপথ থেকে কক্ষপথে, দেখছি আর অনুভব করছি সম্পর্কগুলোকে,
হাঁটছি গভীর শূন্যতার শেষ প্রান্তের দিকে, যেখান থেকে স্বশরীরের কেউ ফিরে না, আমিও না।
রহমান খলিল
ক্রন্দন
আকাশে বাতাসে রোল
তিতাসের বুকে ক্রন্দন
নির্বাক মোড়াইল
শোকাহত পলিমাটি
ছুটবে না আর বক্তিয়ারের ঘোড়া
লেখা হবে না আর-
কখনো পানকৌড়ির রক্ত
অমর হোক সোনালী কাবিন
তোমার ক্ষুরধার সেই লেখায়
কে বলে তুমি নেই
আছো আছো নিশ্চয়
নদী ও পাতার ভাঁজে
মায়াময় ছায়া হয়ে,
বরণীয় সোনার টুকরো।
কবির কাঞ্চন
সব্যসাচী আল মাহমুদ
আল মাহমুদের গল্প-উপন্যাস মুগ্ধতায় ভরা
কালেকালে রবে যে তাঁর কবিতা-ছড়া।
শব্দ নিয়ে খেলে হলেন শব্দবাজিকর
মেধা দিয়ে মেলে দিলেন জ্ঞানের বাতিঘর।
সব্যসাচী লেখক বলে তাঁর যে জুড়ি নাই
একজীবনের মানে খুঁজে তাঁর লেখাতে পাই।
কবির লেখায় ওঠে আসে জীবনের জয়গান
যেই ছোঁয়াতে পাঠকমনের ভালোবাসা পান।
সাদিক আল আমিন
রক্তফুল একুশে
সেদিন রাতে হয়তো সালাম ঘুমোয়নি দুটো রুটি খেয়ে,
কিংবা বরকত জব্বার বসেনি পাঠ্যবইটা হাতে নিয়ে
উত্তেজনায় কেটেছে এক রাত কতো মানুষের!
ভোর হতে না হতেই ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ফেলবো আমরা’
বুকের ভেতর আছাড় খেয়েছে প্রচুর সরল এই বাক্যটি
খুব সকালে উঠে এসেছিলো ছাত্ররা
দল বেঁধে একত্র হয়ে,
কেউ একজন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বেশ জটিল ও শক্ত,
১০ জন করে করে পরে একত্রে সংযুক্ত হয়ে আমরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করবো›
করেছিলো মিছিল, রুখেছিল পুলিশ;
টিয়ার শেল, কাঁদুনে গ্যাস, বুলেট হাত পা মাথায় বুকে হুল ফুঁটিয়েছে
নিথর হয়ে শুয়ে আছে দ্যাখো জব্বার, ওপাশে সালাম
বরকত চোখ বন্ধ করবার আগে মায়ের চেহারাটা শেষবার ভেবে নেয়;
সহগ্র প্রাণের শ্রদ্ধায় নবজন্ম লক্ষাধিক বাঙলাপ্রাণ মিনার
প্রতিটি একুশে ওদের বুকে রক্তলাল ফুল তুলে দেয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন