বস্ত্রশিল্পের চতুর্থ বিপ্লব হিসাবে খ্যাত স্মার্ট পোশাকের বাজার অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। ক্রমেই চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া এই বিশেষ পোশাকের বিশ্ব বাজারমূল্য ২০২৫ সাল নাগাদ ১৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে উল্লেখ করেছে সায়েন্টিফিকা রিসার্চ। আর এই বিশাল বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান সুসংহত করার পথকে প্রশস্ত করার লক্ষ্য নিয়ে আগামী ২ মে ঢাকার আন্তর্জাতিক বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে শুরু হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ ফ্যাশনলজি সামিট’-এর দ্বিতীয় আসর।
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয়। গত বছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আয় প্রায় ৩২ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু রপ্তানিকৃত পোশাকের সিংহভাগ শার্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার, ডেনিম এবং সোয়েটার। এই পাঁচটি মৌলিক পোশাক পণ্যের মধ্যে এখনও সীমাবদ্ধ।
বাংলাদেশ এ্যাপারেল একচেঞ্জ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি পোশাক শিল্পে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি পণ্যের উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের পোশাক উদ্যোক্তাদের উচ্চ মূল্যের পোশাকের উপর গুরুত্ব দেওয়া অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায় টিঁকে থাকতে হলে আমাদেরকে ১৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের স্মার্ট পোশাকের বাজারের দিকে নজর দিতে হবে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে আগামীর ফ্যাশন জগতের জন্য প্রস্তুত হতে উৎসাহিত করাই ফ্যাশনলজি সামিটের দ্বিতীয় সংস্করনের অন্যতম লক্ষ্য। আর তাই এবারের আসরে জড়ো হবেন ফ্যাশন টেকনোলজির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম সংস্করণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফিউচার ফ্যাক্টরি, ভার্চুয়াল প্রোটটাইপিং, ফ্যাশন টেক এবং সাসটেনেবল ইনোভেশন, মাস কাস্টোমাইজেশন এবং ডিমান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনার পথ ইতিমধ্যে উন্মোচিত হয়েছে। ‘ডিজিটালাইজেশন- দ্যা নেক্সট ডেস্টিনেশন’-কে বাংলাদেশ ফ্যাশনলজি সামিটের দ্বিতীয় সংস্করণের প্রতিপাদ্য হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের আসরে পাঁচটি প্যানেল আলোচনা সভায় ডিজিটালাইজেশন ব্যবহারের মাধ্যমে বস্ত্রখাতের চতুর্থ বিপ্লবের যুগে কিভাবে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা যায় সে বিষয়ের উপর আলোকপাতের জন্য বিশ্বের খ্যাতনামা আলোচকবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এই সামিট নতুনদের জন্য ফ্যাশনে তাদের অভিনব উদ্ভাবনসমূহ প্রদর্শনের একটি চমৎকার সুযোগ এনে দিবে।
বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারদের তৈরিকৃত স্মার্ট পোশাকের ‘ডিজিটাল টেক ফ্যাশন রানওয়ে শো’ শীর্ষক একটি জমকালো প্রদর্শনীর আয়োজন থাকবে।
এছাড়া ফ্যাশন জগতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভবনসমূহ প্রদর্শনের জন্য থাকবে ‘টেক ইনোভেশন জোন’। বাংলাদেশ ফ্যাশনলজি সামিটের সহযোগীতায় রয়েছে-ইথিক্যাল ট্রেডিং ইনিটিয়েটিভ, সাসটেইনেবল এ্যাপারেল কোয়ালিশন, ইন্টারন্যাশনাল এ্যাপারেল ফেডারেশন, সি এন্ড এ ফাউন্ডেশন, ইউনাইটেড স্টেটস্ এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, একসেস টু ইনফরমেশন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশস্থ নেদারল্যান্ড দূতাবাস, জিআইজেড, এবং এইচ এন্ড এম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন