খুলনা ব্যুরো ঃ খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের সাথে গতকাল (রোববার) পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের উন্নয়নে বিপিআই-এর খুলনা বিভাগীয় কমিটি : খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় ও ১৩ দফা প্রস্তাব ও দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মতবিনিময়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনা বিভাগসহ দেশের পোল্ট্রি ও ডেইরির উন্নয়নে পোল্ট্রির বাচ্চা, খাদ্য ও ওষুধের মূল্য সহনীয় করা, খুলনায় মুরগি ও ডিমের পাইকারি বাজার বা আড়ত স্থাপন, কৃষির মতো পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পে খামারি ও ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ব্যাংকঋণ প্রদান, বীমা প্রথা চালু, ক্ষতিগ্রস্ত খামারি ও ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, পোল্ট্রি ডেইরি গণনা বা শুমারির মাধ্যমে ডিম, মুরগির গোশত ও দুধের চাহিদার আলোকে উৎপাদন, সরবরাহ, বাজার ব্যবস্থাপনা, রোগ-ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় করাসহ আগামী ২০১৬-১৭ জাতীয় বাজেটে কৃষির উপখাত পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের ওপর নতুন কোনো করারোপ না করে আগামী ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত করমুক্ত ঘোষণার দাবি করা হয়। পোল্ট্রি সমিতির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল প্রান্তিক খামারি, হ্যাচারি মালিক, বাচ্চা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সাথে পৃথক পৃথক বৈঠকে সমিতির দাবিগুলো অবহিত করা এবং ৩ মে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী এবং ২ মে ডিএলও-কে স্মারকলিপি দেয়া হয়। এছাড়া ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে গত ১০ এপ্রিল মুরগির বাচ্চার মূল্য নির্ধারণী জাতীয় কমিটির সভায় আগামী ১৫ কার্যদিবসে খুচরা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
মতবিনিময় ও স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ মাওলানা ইব্রাহিম ফয়জুল্লাহ, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য, খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের খুলনা প্রতিনিধি শেখ রেজানুল ইসলাম, খুলনা সমিতির উপদেষ্টা শাহাদাত হোসেন বাদশা প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন