চট্টগ্রামে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটির অবতরণ জরুরি ছিল না বলে জানিয়েছেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক। তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক ল্যান্ডিং ছিল।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের প্রতমন্ত্রী মাহবুব আলী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। কথা বলেন সচিবও।
রোববার বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, ফ্লাইটটির অবতরণ জরুরি ছিল না, এটা ছিল স্বাভাবিক (নরমাল) ল্যান্ডিং।
যদিও তখন কর্মকর্তারা বলেন, বিমানের চট্টগ্রাম থেকে দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে পাইলট তা শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান।
ওই ঘটনার পর রাতে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, ছিনতাইকারীর বয়স ২৫-২৬ বছর। তার সঙ্গে একটি পিস্তল ছিল।
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে যুবকের হাতে পিস্তলের বিষয়ে সচিব বলেন, পিস্তল ছিল কি-না, তদন্ত প্রতিবেদন না পেলে কিছু বলা যাবে না। সিসি ক্যামেরার দৃশ্য পেয়েছি। স্ক্যানিং মেশিনে কোনো কিছু পাইনি।
তিনি জানান, তদন্ত টিম কাজ শুরু করেছে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহাবুব আলী বলেন, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইট ছিনতা চেষ্টার অভিযোগে নিহত যুবক পলাশের হাতে সত্যিকার নাকি খেলনা পিস্তল ছিলো তা আদৌ ওয়াকিবহাল নই। তবে পলাশকে ঠান্ডা মাথার ছিনতাইকারী বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
বিমানে গুলিবিনিময় হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর জিওসির এমন বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের জানা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন