ইনকিলাব ডেস্ক ঃ যুব উন্নয়ন অধিদফতরের গত বছরের হিসাব অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুব জনগোষ্ঠী। এ হিসাবে দেশে মোট যুবগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার। আর এ যুবগোষ্ঠীর ৪৫ শতাংশ বেকার। এছাড়া মোট যুবগোষ্ঠীর ৪৫ শতাংশ শিক্ষাবঞ্চিত ও ৩১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ দরিদ্র। রাজধানীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আকামু গিয়াসউদ্দিন মিল্কী অডিটোরিয়ামে জাতীয় যুব অধিকার অ্যাসেম্বলির উদ্বোধনী অধিবেশনে উপস্থিত বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, জাতীয় যুবনীতি ২০০৩-এ উন্নয়নের মূলধারায় যুবদের অংশগ্রহণ ও উৎপাদনমুখী বাস্তব শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থান, নেতৃত্বসহ সম্ভাবনাময় সব গুণাবলির বিকাশ সাধনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। জনগণের মতামত গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে সরকার নতুন যুবনীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘খসড়া জাতীয় যুবনীতি ২০১৫’ প্রকাশ করেছে। কিন্তু এতে যুব অধিকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উল্লেখ নেই। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে যুবদের শামিল করতে হলে যথাযথ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে নানামুখী উদ্যোগ থাকলেও মূল উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকেই।
অ্যাসেম্বলি উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান ও পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি রাকিব আহসান। অধিবেশনে সম্মানীয় অতিথি ছিলেন অ্যাসেম্বলির অন্যতম উপদেষ্টা ও বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। এতে অ্যাসেম্বলি বিষয়ে উপস্থাপন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী ও যুবনীতি-বিষয়ক গবেষণা উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চার শতাধিক যুবর অংশগ্রহণে আয়োজিত অ্যাসেম্বলিতে খসড়া জাতীয় যুবনীতি-সম্পর্কিত বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। ড. বীরেন শিকদার প্রকাশিত খসড়া যুবনীতির বিষয়ে সবাইকে সুপারিশ প্রদানের আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন