ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন আহমেদের মনোনয়ন ছিনতাই হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শেখ সানি নামে একজনকে মারধর করে মনোনয়ন ছিনতাইকারীরা।
শেখ বোরহান উদ্দিন জানান, তিনি অসুস্থ হওয়ায় মোগড়া ইউনিয়নের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও যুদ্ধাপরাধী মোবারক হোসেনের মামলার অন্যতম স্বাক্ষী আবদুল হামিদ ভূইয়াকে তার মনোনয়নপত্রটি জমা দেওয়ার জন্যে পাঠান। দুপুর পৌনে ১টার দিকে ইউএনওর কার্যালয় থেকে তার মনোনয়নপত্রটি ছিনতাই করে নেয়া হয়। তিনি এ জন্য আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কাশেম ভ‚ইয়া ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলকে দায়ি করেন। তিনি বলেন, তাদের লোকজনই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ ভ‚ইয়া বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার কারণে আমরা ইউএনওর পাশের রুমে বসেছিলাম। আমার সঙ্গে থাকা শেখ সানির কাছে মনোনয়ন ফরমসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ব্যাগটি দিয়ে আমি টয়লেটে গিয়েছিলাম। এ সময় যুবলীগ নেতা জাহিদসহ আরও কয়েকজন সানিকে মারধর করে ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আবদুল হামিদ ভূইয়া আরো জানান, ঘটনার পরপর তিনি সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও থানায় বিষয়টি জানান। সহকারী রিটার্নিং অফিসার তাৎক্ষণিক সিসি ক্যামেরায় ছিনতাইকারীদের দেখা গেছে বলে স্বীকার করলেও পরক্ষণে বলেন তার সিসি ক্যামেরা নষ্ট।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামছুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। কারা নিয়েছে তা আমি জানিনা। তার মনোনয়ন ফরমটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকার একটি উপজেলা আখাউড়া। এখানে দলের প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল থেকে একজনের নামই কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন