শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ভ্যাট আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে এফবিসিসিআই’র চিঠি

প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইন সংশোধনে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চাইল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। গত রোববার এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠির সঙ্গে বেশ কিছু সংশোধনী প্রস্তাব যুক্ত করে এফবিসিসিআই তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন চেয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মূসক আইন বিষয়ে তিন দফা চিঠি দেওয়া হলো সংগঠনটির পক্ষ থেকে। গত ২৪ এপ্রিল পাঠানো প্রথম চিঠিতে মূসক আইনের সংশোধনী চাওয়া হয়েছিল। পরের চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, এটা আগের চিঠির বিস্তারিত। কোন কোন সংশোধন হওয়া উচিত, কীভাবে হবে তা বলা হয়েছে নতুন চিঠিতে। তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এফবিসিসিআই’র যৌথ কমিটি যে সাতটি বিষয়ে একমত হয়েছিল তা মূসক আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নতুন চিঠিতে এফবিসিসিআই সব পর্যায়ে কর মুক্তির সীমা ২৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬ লাখ টাকা করতে মূসক আইনের ২(৪৮) ধারা এবং ৩৬ লাখ টাকা থেকে দেড় কোটি টাকা লেনদেন পর্যন্ত ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর আরোপের জন্য ২(৫৭) ধারার সংশোধন চেয়েছে। এ দুটি ক্ষেত্রে ‘উল্লেখিত টাকার সীমা’ শব্দগুলো যোগ করলেই সমস্যার সমাধান হবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
অনাদায়ী করের জন্য করদাতার সব আত্মীয়কে দায়ী করার বিষয়টি বাতিল করার দাবি করা হয়েছে এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবে। এ জন্য ২(৯৭) ধারার ‘ক’ উপধারা থেকে ‘ব্যক্তির কোনো আত্মীয়’ কথাটি বাদ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে রেয়াত নিতে অসমর্থ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপকরণ মূল্য বাদ দিয়ে সংযোজিত অংশের ওপর মূসক আরোপের কথা বলা হয়েছে। খাতভিত্তিক বিভিন্ন হারে মূল্য সংযোজন ধরে বিক্রয় মূল্যের ওপর ইস্পাত খাতে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ, জুয়েলারি খাতে ১ দশমিক ৫ শতাংশ, হীরা বিক্রিতে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, বিভিন্ন সেবার ওপর ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ও ইটের ওপরে ১ দশমিক ৫ শতাংশ মূসক আরোপের সুপারিশ করা হয়।
মূসক আইন নিয়ে আলোচনার জন্য মে মাসের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় চেয়েছে এফবিসিসিআই। তার আগে এসব সুনির্দিষ্ট সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হলো। এসব প্রস্তাব মূলত যৌথ কমিটির সুপারিশের আলোকে তৈরি করা হয়েছে।
সর্বশেষ চিঠিতে মূসক আইনের কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরির আশঙ্কা করা হয়। এতে বলা হয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের অসন্তোষ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াকে পুঁজি করে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা হতে পারে। এ নিয়ে ব্যবসায়ী মহল উদ্বিগ্ন। মাতলুব আহমাদ বলেন, মূসক আইনে যৌথ কমিটির সুপারিশের আত্মপ্রকাশ না ঘটলে ব্যবসায়ীদের অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন