মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সুন্দরবনঘেরা খুলনায় ‘ফ্রুটিকা ইসলামিক জিনিয়াস’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৯, ৭:৪৬ পিএম

সুন্দরবনের ছায়াঘেরা অঞ্চলের সেরা ইসলামী প্রতিভা খুজে আনতে বিভাগীয় শহর খুলনায় অনুষ্ঠিত হলো দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী প্রতিযোগীতা ‘ফ্রুটিকা ইসলামিক জিনিয়াস’। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মহানগরীর ইউনাইটেড ক্লাব প্রাঙ্গণে আঞ্চলিক বাছাই পর্বে তিনশোর অধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে ২৩ জন প্রতিযোগী নির্বাচিত করা হয় যাদের মধ্য থেকে সেরা ছয়জন ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি অংশগ্রহন করবেন জানান আয়োজকরা।

আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজের (এএফবিএল) উদ্যোগে ‘ফ্রুটিকা ইসলামিক জিনিয়াস’ নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামী আদর্শ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে বলে বলে কর্মকর্তাদের ভাষ্য। বিদ্যালয় এবং মাদরাসার ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন, যারা ক্বিরাত, ইসলামিক জ্ঞান, হামদ-নাত এবং আযান এ সমানভাবে পারদর্শী।

আয়োজকরা জানান প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী ৫ লাখ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজয়ীকে যথাক্রমে দুই ও এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিজয়ীদের স্কলারশিপের সুযোগ দেওয়া হবে।

এএফবিএলের মো. মাইদুল ইসলাম এ জি এম (ব্রান্ড র্মাকটিং) বলেন, শিশুদের মাঝে শুদ্ধ ইসলামিক মানবিক মূল্যবোধ বিকাশ ও জাগ্রত করার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে করে নবীন শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে ধর্মীয় বিষয়ে নিজেদের পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। খুলনাতে বাছাই পর্বে বিচারক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক, সউদী আরবের জেদ্দা সিটি করপোরেশন মসজিদের ইমাম আমিনুল ইসলাম এবং এটিএন বাংলার এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্বারী একেএম ফিরোজ। ঢাকা বিভাগে আগামী ২২ মার্চ বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান আয়োজকরা। এর আগে কুমিল্লা থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া এবং রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আঞ্চলিক পর্ব। আঞ্চলিক সেরা প্রতিযোগিদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় আয়োজন করা হবে কিশোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই ইসলামী প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্ব।

দেশের নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামী আদর্শ তুলে ধরার জন্য ২০১৬ সাল থেকে ‘ফ্রুটিকা ইসলামিক জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। আয়োজকরা বলছেন, প্রতিযোগিতাটি শিশুদের মানবিক বিকাশে অবদান রাখছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসিত হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন