তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানের দেওয়া বক্তব্যে চটে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এমনকি দেশটিতে তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে তলবও করা হয়। তবে রাতারাতি সেই অবস্থান থেকে সরে আসলেন মরিসন। বললেন, আঙ্কারার সঙ্গে ‘সম্পর্ক মেরামতে’ কাজ করছে তার দেশ।
এর আগে এক রাজনৈতিক সমাবেশে তুর্কি প্রেসিডেন্ট নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র সমালোচনা করেন। সেইসঙ্গে ওই হামলার ভিডিও সমাবেশে দেখিয়ে এরদোগান বলেন, তুরস্কে এ রকম কেউ হামলা করতে আসলে তাকে কফিন নিয়ে ফেরত যেতে হবে, যেমনটা তাদের দাদাদের (পূর্ব পুরুষ) করা হয়েছিল গাল্লিপোলি যুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, ১৯১৫ সালের ওই যুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ৮ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছিল। ব্রিটেনের নেতৃত্বে উসমানিয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া ওই যুদ্ধে ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াও অংশ নিয়েছিল।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, এক নির্বাচনী সমাবেশে এরদোগানের দেওয়া বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন স্কট মরিসন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বলছেন, তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনঃনির্মাণে’ কাজ করছে সরকার।
অবশ্য এর আগে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের এক মুখপাত্র বলেছেন, তুর্কি প্রেসিডেন্টের ওই কয়েকটি শব্দ আলোচনা বহির্ভূত ছিল। বিষয়টি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে ছাপাও হয়েছে। আর এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। রাতারাতি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সেইসঙ্গে তুরস্কের এই উদ্যোগকে, যাকে তিনি সংযত হওয়া বলছেন, স্বাগত জানিয়েছেন স্কট মরিসন।
গার্ডিয়ান বলছে, পরবর্তীতে এই ইস্যুতে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন মরিসন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালায় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ডানপন্থী উগ্রবাদী সন্ত্রাসী ব্রেনটন টারান্ট। এতে কমপক্ষে ৫০ মুসল্লি নিহত এবং অন্তত ৬০ জন আহত হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন