নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের পর ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার কারণে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনকে দেওয়া জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট। গত সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামীকে এক বছরের অন্তবর্তী জামিন দিয়েছিল।
ওইদিন আদালতে রুহুল আমিনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. আশেক-ই-রসুল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়। এই জামিন আদেশের পর আসামি পক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তোলা হয়। এ বিষয়ে ওইদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আসামির আইনজীবী জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য এক বেঞ্চে ফাইল করেন। কিন্তু শুনানি করেন অন্য বেঞ্চে। আর যেদিন এই জামিন হয় সেদিন আসলে আমরা বুঝতেই পারিনি, কার জামিন হয়েছে।
এরপর আলোচিত এই জামিনের বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের নজরে আনলে জামিন দেয়া হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল শনিবার ছুটির দিনে চেম্বারে বসে আগের জামিন আদেশ প্রত্যাহারের (রিকল) সিদ্ধান্ত দেন। এ আদেশের ফলে বহিষ্কৃত সুবর্ণচরের ধর্ষক ওই আওয়ামী লীগ নেতা কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আগে দেওয়া জামিনে আদেশটি যেন কার্যকর করা না হয় সেজন্য রিকলের বিষয়টি দ্রæত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে পাঠানো হচ্ছে। আর আসামি পক্ষের ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বার কাউন্সিলে দরখান্ত করব। ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নিতে আদালতে আবেদন করা হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের পর রাতে সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ ওই নারীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়। বলা হয় ধানের শীষে ভোট দিয়েছে তাই ধর্ষন করছি। এরপর ওই গৃহবধূর স্বামীর করা মামলায় রুহুল আমিনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রুহুল আমিন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তবে ধর্ষণের আসামি হওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন