চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট করার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তৃক ছয় সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষা শেষে ধর্ষণের আলামত পেয়েছে চিকিৎসকরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মেডিকেল অফিসার শাহানারা আক্তার লিপির নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।
গতকাল স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনটি তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিল উল্যাহর কাছে জমা দিলে তিনি তা নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেরণ করেন। ঘটনায় এ পর্যন্ত প্রধান আসামিসহ ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভিকটিম ও তার স্বামী মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে উত্তর বাগ্যা এলাকায় তালা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ইউসুফ মাঝির নেতৃত্বে ১০/১২জন তাদের গতিরোধ করে মারধর করে। এসময় বেচু মাঝি, বজলু ও আবুল বাসার ওই নারীর স্বামীকে আটকে রেখে তাকে পার্শ্ববর্তী রুহুল আমিনের মৎস্য খামারে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তার স্বামীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন