স্পোর্টস রিপোর্টার : জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম ও ফরোয়ার্ড সোহেল রানার পর এবার ক্ষমা চাইলেন দেশসেরা মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেন। বুধবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেন জাহিদ। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আড়াই মাস আগে জাতীয় দল থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মামুনুল ও জাহিদ। ছয় মাসের সাজা পেয়েছিলেন ফরোয়ার্ড সোহেল রানা ও ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান। ক’দিন আগে মামুনুল ও সোহেল ক্ষমা চাওয়ায় বাফুফে তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। বাকি ছিলেন দু’জন। গত পরশু জাহিদ ক্ষমা চাইলেও শাস্তি মওকুফের জন্য আবেদন করবেন না বলে জানান ইয়াসিন।
ক্ষমা চেয়ে জাতীয় দল কমিটিকে চিঠি দেয়ার পরদিন গতকাল বাফুফে ভবনে ইনকিলাবের সঙ্গে আলাপকালে জাহিদ জানান, তার বাবা মো. লিয়াকত আলী গুরুতর অসুস্থ। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত। বাবাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে চিঠি দিতে দেরী হয়েছে তার।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত। বাবার চিকিৎসার জন্য আমি এ কয়দিন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছি। তা না হলে আরো আগেই চিঠি দিতাম।’ জাহিদ আরো বলেন, ‘বাফুফেকে চিঠি দিয়ে আশাকরছি দুয়েকদিনের মধ্যে তারা আমার শাস্তি মওকুফ করবে। এবং জাতীয় দলে ফিরিয়ে নেবে। আমি জাতীয় দলে ফিরতে প্রস্তুত। জাতীয় দল কমিটি যখনই ডাকবে, তখনই চলে আসবো। শাস্তি পাওয়ার পর আমি কিন্তু মৌখিকভাবে ক্ষমা চেয়েছিলাম। এটা সবাই জানেন। এবার লিখিত আবেদন করেছি। বেশ কিছুদিন হতাশার মধ্যে ছিলাম। শাস্তির খড়গ মাথায় নিয়ে। অবশেষে তা কাটার একটি উপলক্ষ্য আসলো। যদি বাফুফে আমাকে ক্ষমা করে তাহলে জাতীয় দলে ফিরে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করবো।’ তিনি যোগ করেন,‘ উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবাকে ভারত নিয়ে যাবো। মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে উনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি দেশবাসীর কাছে বাবার আশু রোগমুক্তির জন্য দোয়া চাই।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন