বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

শিল্প-কারখানা স্থাপনে চীনের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ৭:০০ পিএম

মেশিনারিজ উৎপাদনে শিল্প-কারখানা স্থাপন ও বিনিয়োগে চীনের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

চীনের দি ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্স অফ ইউনান প্রভিন্স এর বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ইউয়ান লিন-এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (২৫ মার্চ) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি ওসামা তাসীর-এর সাথে সাক্ষাতকালে এ আহবান জানানো হয়।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৪০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১১৭০৬ ও ৬৯৪ দশমিক ৯৭ মার্কিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ২০২১ সালের মধ্যে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, ইউনান প্রদেশ মেশিনারিজ উৎপাদনে অত্যন্ত দক্ষতার সাক্ষর রেখেছে এবং এ খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরো বেশি হারে বিনিয়োগ ও শিল্প-কারখানা স্থাপনে আহ্বান জানান। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং ফুলচাষের বহুমুখীকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে ইউনানের এ খাতের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। ডিসিসিআই সভাপতি জানান, বাংলাদেশে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, পর্যটন, ফুল চাষাবাদ, ওষুধ, যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা এবং সমুদ্র অর্থনীতি প্রভৃতি খাত সমূহ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং এখাত সমূহে চীন ও বাংলাদেশের উদ্যোক্তাবৃন্দ যৌথ বিনিয়োগ করতে পারে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, চীন ও আসিয়ান অঞ্চলের দেশসমূহরে সাথে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ‘লুক ইস্ট’ নীতিমালা গ্রহণ করেছে।

ইউয়ান লিন জানান, ২০১৮ সালে ইউনান প্রদেশের মোট আমদানি-রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রদেশটি শুধুমাত্র মেশিনারিজ পণ্য রপ্তানি করেছেন ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। তিনি বলেন, ইউনান প্রদেশে মেশিনারিজ উৎপাদনে চীনের অন্যান্য প্রদেশের মধ্যে চতুর্থ এবং চীনের উদ্যোক্তাবৃন্দ এ খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে আগ্রহী। পাশাপাশি ইউনান প্রদেশ প্রচুর পরিমাণে কফি, তামাক, রাবার, ফুল প্রভৃতি উৎপাদন করে থাকে। তিনি বাংলাদেশী উৎদ্যোক্তাদের এ ধরনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ইউনানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে বাংলাদেশ এবং ইউনান প্রদেশ বেশ কাছাকাছি অবস্থান করলেও তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আশানুরূপভাবে বৃদ্ধি পায়নি। এমতাবস্থায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, ইঞ্জি. মো. আল আমিন, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, শামস মাহমুদ এবং এস এম জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন